খুলনা বিভাগসারাদেশ

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার সেই স্কুলছাত্রীর বাচ্চা প্রসব

মহম্মদপুর(মাগুরা) প্রতিনিধিঃ মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার সেই স্কুলছাত্রীর বাচ্চা প্রসব।

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার সেই স্কুলছাত্রীটি মা হয়েছে। শনিবার দুপুরে মাগুরা সদর হাসপাতালে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছে সে।

ঐ ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রসবজনিত ব্যথা উঠলে তাকে সকালে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তির পর দুপুরে সে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়।

ঐ কিশোরীর বাবা বলেন, আমি কী করব ভেবে পাচ্ছি না। এ ঘটনার সব আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন মহম্মদপুর উপজেলা ও মাগুরা জেলা শহরে একাধিকবার মানববন্ধনসহ নানারকম কর্মসূচি পালন করলেও প্রভাবশালী আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। জানা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের অষ্টম শ্রেণির এক কিশোরীর সঙ্গে সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে শাহাবুল ইসলামের (১৯) দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। এ ঘটনায় গত ১৬ জুলাই মেয়ের বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত শহিদুলের নামে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। ঐ দিনই পুলিশ শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে।

অন্যদিকে মামলা দায়েরের আগে ১০ জুলাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা সিদ্দিকী লিটন স্থানীয় একটি বাড়িতে সালিশ করেন। এই বৈঠকে মোস্তফা সিদ্দিকী লিটন সমাধান দেওয়ার বদলে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে কিশোরীর পরিবারকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। যা দেওয়ার জন্য ১০ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই কিশোরীর পরিবারকে ছয় মাসের জন্য এলাকায় একঘরে ঘোষণা করা হয়। নির্ধারিত সময়ে টাকা দিতে ব্যর্থ হন পেশায় ভ্যানচালক ওই কিশোরীর বাবা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তফা সিদ্দিকী লিটন, নহাটা ইউনিয়নের সাবেক সদস্য ওবায়দুর রহমানসহ একদল দুর্বৃত্ত গত ২০ জুলাই বাড়ি থেকে একটি গরু, চারটি ছাগল, একটি বাইসাইকেল, ভ্যানসহ মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ২৭ জুলাই মহম্মদপুর থানায় মোস্তফা সিদ্দিকী লিটনসহ ১৬ জনের নামে মামলা করেন।

মহম্মদপুর থানার ওসি তারেক বিশ্বাস বলেন, এ মামলার পরপরই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button