রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

শিবগঞ্জের হালিমার ঘরে নেই আলো, নেই খাবার ও পানির ব্যবস্থা

চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের  শিবগঞ্জ উপজেলা শ্যামপুর ইউনিয়নের টিকোস চৌধুরী পাড়া গ্রামে এক ঘরে একাই বসবাস করেন হালিমা। নিজের শেষ সম্বল এক টুকরো জমি একটি কুড়ে ঘর সেই ঘরেই তার বসবাস। সারা জীবন মানুষের কাছে হাত পেতে  থাকার জন্য ইটের ছোট্ট কুড়ে ঘরটি তৈরি করেছিল। আবার ডিজিটাল যুগে এবং শতভাগ বিদুৎ এর এই উপজেলায়  নেই সেই কুড়ে ঘরে বিদুৎ এর আলো।  নেই পানি পান করার জন্য নলকুপ নেই  টয়লেট।
গ্রামের ভাষায় এমন ঘরগুলোকে বিশেষ করে বলা হয় ছিটার ঘর। কষ্টের তৈরি সেই ঘর বর্ষাকালের পানি ও সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ভেঙে যাওয়ার অবস্থা। এই মহামারীর মধ্যে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছেন হালিমা।
হালিমার এলাকায় চার দিকের বাড়ি-ঘর বিদ্যুতের আলোয় ঝকঝক করছে। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগেও বিদ্যুতের আলো পৌঁছেনি হালিমার ঘরে। নেই বিশুদ্ধ পানি পানের জন্য একটা নলকূপ। আর নিজের ঘর তো তার কাছে স্বপ্নের মতো। বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির জন্য এখনো শুধু স্বপ্নই দেখে, কিন্তু বাস্তবতা যে পড়ে আছে গহীন অন্ধকারে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,শিবগঞ্জ উপজেলা শ্যামপুর চামার বাজার থেকে কানসাট দিকে যেতে রাস্তার পাশে একটি  কুড়ে ঘর। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়  ঘরে  টিনের চালা ফুটো সেই ফুটো দিয়ে ঘরের ভিতর বর্ষার পানি পড়ে।  ঘরের  দেওয়ালে ফাটল ধরেছে । কষ্ট আর ভয় নিয়েই  সেই ঘরে থাকে  হালিমা।
কথা হয় হালিমার সাথে,তিনি জানান, ভাই রাতে একাই আতঙ্কে থাকি। কখন যে ঝড় আসে আর কখন যে বৃষ্টি হয়! দেখার কেউ নেই, খুব কষ্টে আছি।খাবার পানি  বা নামাজ পড়ার জন্য অযুর পানি পাই না। আমাকে পানি আনতে যেতে হয় অনেক দুর। চেয়্যারমানের কাছে গিয়াছিলাম সে আমাকে কিছু চাল আর বিধবা ভাতার একটি কার্ড করে দিয়েছে। আমি সরকারের কাছে বা তার প্রতিনিধির কাছে অনুরোধ করছি, আমার ঘরটি মেরামত ব্যাবস্থা বা কটা নলকূপ একটা টয়লেট করে দিলে আমার উপকার হতো।আমি তাদের জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করতাম।
স্থানীয় এক মহিলা বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে দেখে আসছি হালিমা বেগম অনেক কষ্ট করে চলছে। থাকার যে ঘর সে ঘরে ফাটল ধরেছে  এবং বর্ষায় টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে । রাস্তার পাশে বাড়ি হওয়ায় যাতায়াত করতে আমরা দেখি।  সরকার যদি তার জন্য একটা ঘর,একটা নলকুপ এবং একটা টয়লেটের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে তার অনেক উপকার হতো।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button