নাগরিকত্ব হারানোর আতঙ্কে বিজেপি কর্মীর আত্মহত্যা
সম্প্রতি ভারতের আসাম রাজ্যে নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি প্রকাশিত হয়। এর ফলে রাজ্যটির প্রায় ১৯ লাখ বাসিন্দা নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। আর এরপর থেকেই অজানা আতঙ্কে ভুগছে রাজ্যবাসী। পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হলে কী হবে তা ভেবেই ইতিমধ্যেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন অনেকেই। এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার রানাঘাটে। শুক্রবার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি কর্মীর। সিপিএমের দাবি, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে ভীতির জেরে আত্মহত্যা করেছেন বিজেপির সক্রিয় কর্মী নিবাস সরকার।
জানা গেছে, নিবাসের বাড়ি হাঁসখালির মিলননগর এলাকায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে ঘরে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান ভাড়াটিয়ারা। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাড়ি নদিয়ায় হলেও বেশিরভাগ সময় সেখানে থাকতেন না নিবাস। তিনি রাজস্থানের উদয়পুরে গ্রামীণ চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন। দীর্ঘদিন যাবৎ স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে নিয়ে সেখানেই তাঁর বসবাস। মিলননগরের বাড়িটি ভাড়া দেওয়া আছে। তিনি মাঝেমধ্যে এসে কিছু দিন থেকে চলে যেতেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বরও তেমনই এসেছিলেন। নিবাসের বড় ভাইয়ের দাবি, ভাই নেশার কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়েছিল।
সিপিএমের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে নদিয়ার রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের প্রচারে হনুমান সেজে খবরে এসেছিলেন যিনি, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে ভীতির জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন সেই নিবাস। টুইট করে এই দাবিই করেছেন দলের পলিটবুরো সদস্য মোহম্মদ সেলিম। তবে নিবাসের পরিবার তা অস্বীকার করেছে।
এদিকে, রানাঘাট কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথের দাবি, একেবারেই ব্যক্তিগত কারণে নিবাস আত্মঘাতী হয়েছেন। এর সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন