সারাদেশ

ফুলবাড়ীতে বোরো ক্ষেতে ছত্রাকের আক্রমণে দিশেহারা কৃষক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ছত্রাকের আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক কৃষকের উঠতি বোরো ধানের ক্ষেত। ছত্রাকের কারণে ফসল নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ধার দেনা করে দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে তারা অনেক আশায় বুক বেঁধে ছিলেন স্বপ্নের সোনালী ফসল ঘরে তোলার জন্য। সাধ ছিল বোরো ধান কেটে নবান্ন উৎসব করার। থান যখন পাকতে শুরু করেছে ঠিক তখনি ছত্রাকের আক্রমণে ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষকের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুড়মার হয়ে গেছে। সরেজমিনে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন নাওডাঙ্গা, শিমুলবাড়ী, ফুলবাড়ী, বড়ভিটা, ভাঙ্গামোড় ও কাশিপুর ঘুরে ছত্রাকের আক্রমণের এ চিত্র দেখা গেছে। অনেক কৃষক এ সময় অভিযোগ করে বলেন, সময় মতো তারা কৃষি দপ্তরের কারো পরামর্শ পাননি। তাই প্রতিরোধমূলক কোন ওষুধ প্রয়োগ করতে না পারায় অনেকের ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকেই অক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে করে ফসল রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিয়েছে বড়ভিটা ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নের মধ্য বড়ভিটা গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অনেক কৃষকের উঠতি বোরো ক্ষেতের ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। মধ্য বড়ভিটা ও উত্তর বড়ভিটা গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন (৫০), শাহীন মিয়া (৪০), রণজিৎ কুমার (৫০), মুকুল মিয়া (৩৫) জালাল উদ্দিন (৩৯), শৈলেন্দ্রনাথ রায় (৩৫), হাছেন আলী (৭০), নজির হোসেন (৫০), তোফাজ্জল হোসেন (৫৮) এর সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা জমিতে ব্রি-২৮,জিরাশাইল ও ব্রি-৮১ জাতের ধান রোপন করেছেন। চারা রোপনের পর থেকেই নিয়মমাফিক সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। কয়েক দিন আগে ধানের শীষ সাদা হওয়া শুরু হলে ছত্রাক নাশক স্প্রে করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ফসল হারিয়ে হতাশ এসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। একদিকে ফসল হারানোর শোক অপরদিকে ঋণ পরিশোধের চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। ফসল হারিয়ে আগামীতে তীব্র খাদ্য সংকটে পড়বেন ক্ষতিগ্রস্ত এসব প্রান্তিকক কৃষক। সংকট মোকাবিলায় সরকারি সহায়তা চান তারা। এ সম্পর্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশীদ বলেন, বোরো ক্ষেতে ছত্রাকের সংক্রমণ রোধে মাঠ পর্যায়ে কৃষকের পাশে থেকে সার্বক্ষণিক কাজ করার জন্য ব্লক সুপারভাইজারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সঠিক মাত্রায় ছত্রাকনাশক স্প্রে করে এ রোগ থেকে ফসল রক্ষা করা সম্ভব। যে জমিতে এখনো ছত্রাকের আক্রমণ হয়নি সংক্রমণ রোধে সেখানেও আগাম স্প্রে করতে হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button