জাতীয়দুর্যোগলিড নিউজ

স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা পুলিশের ওপর বোমা হামলা

নীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের গাড়িবহরে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তার ওপর ককটেল হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আরও একজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার পুলিশ বক্সের সামনে ককটেল বিস্ফোরণে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের গাড়িবহরে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। অপরজন ওই স্থানে ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। আহতরা হচ্ছেন এএসআই শাহাবুদ্দিন (৩৫) ও কনস্টেবল আমিনুল (৪০)।

শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।

নিউমার্কেট থানার ডিউটি অফিসার আবু তালেব বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এসময় গাড়িতে থাকলেও তার কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া দাবি করেছেন, দুর্বৃত্তরা সায়েন্স ল্যাবরেটরি পুলিশ বক্সকে টার্গেট করেই বোমা হামলাটি ঘটায়।

এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

পুলিশ জানায়, আহত এএসআই শাহাবুদ্দিন (৩৫) ও কনস্টেবল আমিনুল (৪০) বর্তমানে ঢামেকে চিকিৎসাধীন। গোলাম রসুল নামের একজন সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এএসআই শাহাবুদ্দিনের দু’পায়ে ও কনস্টেবল আমিনুলের হাতে বোমার আঘাত লেগেছে।

ডিএমপি রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার (নিউ মার্কেট) সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের একজন এএসআই পুলিশ বক্সের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তার ওপর ককটেল চার্জ করা হয়। তিনি পায়ে আঘাত পেয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এলজিআরডি মন্ত্রীকে প্রটোকল দিয়ে আনতে একটি প্রটোকলের গাড়ি যাচ্ছিল। সড়কে যানজট লেগে গেলে প্রটোকলের গাড়ি থেকে ওই পুলিশ সদস্য নেমে যানজট ছাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। ঠিক তখন এ হামলা করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে, সায়েন্সল্যাবের ফুটওভার ব্রিজের ওপর থেকে এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।

এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সহকারী একান্ত সচিব মো. জাহিদ হোসেন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মন্ত্রী গাড়িতে ছিলেন। তাকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের গাড়িটি সামনে ছিল। একজন পুলিশ সদস্য প্রটেকশনের গাড়ি থেকে নেমে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে যানজট নিরসনে কাজ করছিলেন। তখনই বোমাটি বিস্ফোরণ হয়। এতে প্রটেকশনের থাকা পুলিশের এএসআই শাহাবুদ্দিন আহত হন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ওই এলাকা থেকে চলে যান। তার গাড়িতে কিছু হয়নি। তিনি সুস্থ আছেন।’

এদিকে, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া দাবি করেছেন, ট্রাফিক বক্সে থাকা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ককটেলটি নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি, জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার ও পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য এই হামলা হতে পারে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১১টার দিকে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে গুলিস্তান ও মালিবাগে পুলিশের ওপর হাতবোমা হামলা চালানো হয়েছিল।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button