আন্তর্জাতিক

সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার হুমকি দিল ইরান

ইরান কোনো ধরনের বদলা নেয়ার জন্য যদি পাল্টা সামরিক হামলা চালায় তাহলে তা কোনোভাবেই দেশটির সামরিক সক্ষমতার হালকা বহিঃপ্রকাশ হবে না। তা হবে সর্বোচ্চ। ওয়াশিংটনকে দেয়া এক আনুষ্ঠানিকে নোটে তেহরান এই হুমকি দিয়েছে।

দেশটির আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ইরানিয়ান স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সি (ইসনার) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। মূলত সম্প্রতি ইরানের তেল স্থাপনায় ভয়াবহ হামলার পর মার্কিন-ইরান উত্তেজনা যে নতুন রুপ নিয়েছে তার প্রেক্ষিতে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলো তেহরান।

ইসনা বলছে, ‘সুইজারল্যান্ড দূতবাসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠানো এক আনুষ্ঠানিক নোটে ইরান বলেছে, তারা সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলা চালানোর নেপথ্যে ছিল না। তারা হুঁশিয়ার করে বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা জবাব দেয়া হবে।’

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি অ্যারামকোর দুটি গুরুত্বপূর্ণ তেল স্থাপনায় গত শনিবার ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। এর জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা হামলার দায় স্বীকার করলেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তা প্রত্যাখ্যান করে ইরানকে দায়ী করেছেন।

মাইক পম্পেওর দাবি, ‘রুহানি ও জারিফ (ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী) কূটনৈতিক সম্পর্কে জড়িত থাকার ভান করলেও অন্ধভাবে সৌদি আরবে প্রায় একশ হামলা করেছে তেহরান। অচলাবস্থা নিরসনের সকল আহ্বান উপেক্ষা করে ইরান বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের ওপর অভিনব হামলা চালাচ্ছে।’

যুক্তরাষ্ট্র আরও বলছে, যেখান থেকে সৌদিতে হামলা চালানো হয়েছে সেই স্থান শনাক্ত করতে সমর্থ হয়েছে তারা। ইরান থেকেই সৌদির দুই তেলক্ষেত্রে ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি ওয়াশিংটনের। তার প্রেক্ষিতেই এমন হুঁশিয়ারি দিল ইরান।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button