দেশে সংবাদ পাঠে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার নারী
কখনও কখনও এমন কিছু ঘটনা বা কাজ থাকে যা সবাইকে জানানোর তাগিদ অনুভুত হয়। স্বাধীনতার মাস মার্চ ও সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে বৈশাখী টেলিভিশনের তেমন একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বিস্ময় তৈরি করেছে। টেলিভিশনে প্রথমবারের মতো সংবাদ পাঠ করলেন ট্রান্সজেন্ডার নারী তাসনুভা আনান।
বৈশাখী টিভি কর্তৃপক্ষ বলছে, আমরা জানি, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল দেশের মানুষের মুক্তি, সবার জন্য বাসযোগ্য, বৈষম্যহীন একটি সমাজ গড়ে তোলা। স্বাধীনতার ৫০ বছরে গর্ব করার মতো অনেক অর্জন থাকলেও বৈষম্যহীন ও সবার জন্য নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এই ব্যর্থতার কারণে সবচে বড় অবহেলিত জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ট্রান্সজেন্ডাররা অন্যতম, যাদেরকে চিরাচরিতভাবে হিজড়া বললে আমাদের সমাজে সকলেই বোঝেন।
জন্মগতভাবে এই শারীরিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে যারা আমাদের সমাজে ভূমিষ্ঠ হন তাদের পারিবারিক, সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয়ভাবে বঞ্চনা ও অবহেলার স্বীকার হবার অনাকাঙ্ক্ষিত বাস্তবতাটি আমাদের চিরচেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এই অবহেলিত নাগরিকদের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। ভোটার তালিকায় তারা এখন নারী বা পুরুষ হিসেবে নয় সরাসরি হিজড়া পরিচয়েও নিজেদের নাম নিবন্ধন করার অধিকার পেয়েছেন। বিপুল সংখ্যক হিজড়াকে সরকার ভাতাও দিচ্ছে। তবে আমরা মনে করি ট্রান্সজেন্ডারদের ধারাবাহিক ও স্থায়ী উন্নয়নের ধারা নিশ্চিত করতে সবার মানসিকতার পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি।