সারাদেশ

দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ২.২৫ কিলোমিটার

নাব্যতা সংকট মোকাবেলা করে অবশেষের কয়েকদিনের চেষ্টায় দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মা সেতুর ২২৫০ মিটার। সেতুর ১৫ তম স্প্যান ‘৪-ই’ ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়েছে ২.২৫ কিলোমিটার।

প্রায় চার মাস পর পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান বসানো হলো। এর আগে ১৪তম স্প্যান বসানো হয়েছিল গত ২৯ জুন।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) পৌঁনে ১২ টার দিকে ১৫ তম স্প্যান জাজিরা প্রান্তে সেতুর ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলারের উপর স্থাপন করা হয়। পদ্মা সেতুর সহকারি প্রকৌশলী (মূল সেতু) হুমায়ন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকেই স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের আর ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে বহন করে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন।

প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট নির্মাণ শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে পিলারের ওপর দুপুর পৌঁনে ১২ টার দিকে স্প্যানটি বসানো হয়।

এর আগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে জাজিরা প্রান্তের চর এলাকা থেকে পঞ্চদশ স্প্যানকে ভাসমান ক্রেনের মাধ্যমে ২৮ ও ২৯ নম্বর পিলারের সামনে নোঙর করে রাখা হয়েছিল।

জানা গেছে, সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ এবং সেতুর আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ।

অন্যদিকে, নদী শাসনের বাস্তব কাজের ৬৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। নদী শাসন কাজের আর্থিক অগ্রগতি ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ। মোট ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে ৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

আরো জানা গেছে, পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১ টি রোডওয়ে স্লাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্লাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠন সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button