জাতীয়

ঈদযাত্রায় সিলেট ও গাইবান্ধায় সড়কে গেলো আট প্রাণ

ঈদযাত্রায় সিলেট ও গাইবান্ধায় সড়কে ঝরলো আট প্রাণ।

শুক্রবার ভোরে ও সকালে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

সংবাদদাতারা জানান, ঢকা-সিলেট মহাসড়কে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো একজন। হতাহতরা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী।

শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ওসমানীনগরের তাজপুরের বড়াইয়া চানপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের তাজপুর এলাকার চানপুর নামক স্থানে সিলেটগামী প্রাইভেটকারের সঙ্গে কুমিল্লাগামী কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী। আহত হন আরও একজন।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে। তবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কাভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন জন নিহত ও ছয় জন আহত হয়েছেন। হতাহতরা সবাই বন্ধ কাভার্ডভ্যানের মধ্যে ছিলেন।

শুক্রবার ভোরে উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের নুনদহ ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাভার্ডভ্যান খুলে হতাহতদের উদ্ধার করে।

নিহতরা হলেন- রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বানেস্বর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান (৫৬), গঙ্গাচড়া উপজেলার কিশমতপুর গ্রামের মল্লিক আলীর ছেলে সাহেব মিয়া (৩০), একাই উপজেলার ইসমতপুর গ্রামের তোফায়েল আহম্মেদের ছেলে কাজল মিয়া (৩২)।

হতাহতরা সবাই টাইলস বোঝাই কাভার্ডভ্যানের যাত্রী। তারা ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ ও গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের ২টি দল হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। এসময় দুর্ঘটনা কবলিত বন্ধ থাকা কাভার্ডভ্যানের মধ্যে মৃত অবস্থায় ৩ জনকে ও আহত অবস্থায় ছয় জনকে উদ্ধার করা হয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button