আন্তর্জাতিক

ব্রেক্সিট ইস্যুতে পার্লামেন্টের ২১ বিদ্রোহী সদস্য বরখাস্ত

সম্পূর্ণ চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন ঠেকাতে বিদ্রোহ করা ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের ২১ এমপিকে বরখাস্ত করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যার মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের প্রপৌত্র স্যার নিকোলাস সোয়ামসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম।

বিশ্লেষকদের মতে, সম্প্রতি সেই ২১ আইনপ্রণেতা নিজ দলের প্রধানমন্ত্রী জনসনের বরখাস্ত করার হুমকি উপেক্ষা করে পার্লামেন্টে বিরোধীদের সঙ্গে সহমত পেষণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তারা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধেও নিজেদের ভোট প্রদান করেন। মূলত এ কারণেই তাদের শেষ পর্যন্ত বরখাস্ত করতে বাধ্য হন তিনি।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি নিউজ’ জানায়, মূলত এসব আইনপ্রণেতাদের কাছ থেকে সমর্থন না পাওয়ায় মাত্র ৩২৮-৩০১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন বরিস জনসন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাতের সেই ভোটের পরপরই তিনি এসব সদস্যকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন।

ডাউনিং স্ট্রিট থেকে নিশ্চিত করা খবরের বরাতে গণমাধ্যম ‘দ্য সান’ জানায়, মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের অধীনে ব্রিটিশ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেম ফিলিপ হ্যামন্ড, গ্রেগ ক্লার্ক এবং রোরি স্টিওয়ার্ট। এবার তাদেরকেও বরখাস্ত করা হলো। ফলে এসব রাজনীতিক আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দল থেকে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবেন না।

এ দিকে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন ঠেকাতে যেসব আইনপ্রণেতারা বিদ্রোহ করেছিলেন তারা হলেন- রিচার্ড বেনিওন, গুটো বেব, স্টিভ ব্রাইন, গ্রেগ ক্লার্ক, অ্যালিস্টার বার্ট, কেন ক্লার্ক, জাস্টিন গ্রিনিং, ডেভিড গাউকে, ডমিনিক গ্রিয়েভ, ফিলিপ হ্যামন্ড, স্যাম গিমাহ, স্টিফেন হ্যামন্ড, মারগট জেমস, রিচার্ড হ্যারিংটন, অলিভার লেটউইন, ক্যারোলাইন নোয়াকস, নিকোলাস সোয়ামস, অ্যান্টোনেটে স্যান্ডব্যাচ, অ্যানি মিলটন, রোরি স্টিওয়ার্ট এবং এড ভাইজে।

অপর দিকে ব্রিটিশ বিরোধী দল লেবার পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ‘কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট কার্যকরের চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস। অথচ পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর মাধ্যমে এখন তার সরকারের পক্ষে আর কোনো গণ রায়ই রইলো না।’

চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের জন্য বরিস নেতৃত্বাধীন সরকারের চাপ প্রয়োগকে গণতন্ত্রের ওপর একটি নজিরবিহীন হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেন লেবার পার্টির এই নেতা। জেরেমি করবিনের ভাষায়, ‘ব্রেক্সিট নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ সম্পূর্ণ গণতন্ত্রবিরোধী ও অসাংবিধানিক। বরিস জনসনের এখন আর কোনো ম্যান্ডেট, নৈতিকতা ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।’

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button