চট্টগ্রাম বিভাগসারাদেশ

চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. ওসমান ফরহাদ ও চমেক ছাত্র সংসদের (চমেকসু) সাহিত্য সম্পাদক সানি হাসনাইন প্রান্তিককে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগষ্ট) রাত ১২টার থেকে এই কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এ কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ আগষ্ট) বিকেলে চমেক প্রধান ছাত্রবাসে দু’গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

হাতাহাতিতে জড়ানো এক পক্ষ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং অন্যপক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। উভয়পক্ষের একাধিক জন আহত হওয়ার পর চমেক কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ছাত্রাবাস খালি করে পুলিশ। এ ঘটনার জের ধরে উভয়পক্ষ চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করে।

পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. ওসমান ফরহাদ ও চমেক ছাত্র সংসদের (চমেকসু) সাহিত্য সম্পাদক সানি হাসনাইন প্রান্তিককে ফোন করে চকবাজার থানার একজন এসআই জানান, লিখিত অভিযোগে আরেকটি স্বাক্ষর করতে হবে, তারা যেন দ্রুত থানায় চলে আসেন।

রাত পৌনে ১১টার দিকে স্বাক্ষর শেষে চলে যাওয়ার পথে চকবাজার জয়নগর ১ নম্বর গলির মুখে ২৫-৩০ জনের মত চমেকের ছাত্র ও কিছু বহিরাগত মিলে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে দু্ইজন গুরুতর আহন হন।

চমেক হাসপাতাল ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. তাজোয়ার রহমান খান বলেন, আমাদের ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. ওসমান ফরহাদ ও চমেক ছাত্র সংসদের (চমেকসু) সাহিত্য সম্পাদক সানি হাসনাইন প্রান্তিকের হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেফতারসহ চিকিৎসক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে রাত ১২ টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারায় একের পর এক চিকিৎসক মারধরের শিকার হচ্ছেন। আমরা চিকিৎসকদের নিরাপত্তাসহ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করছি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button