সারাদেশ

যশোর লকডাউন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ঠেকাতে সোমবার সকাল ৬টা থেকে যশোর জেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউনে যাচ্ছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

রবিবার বিকালে যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।’

আজ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা পরীক্ষার যে ফল সরবরাহ করা হয় তাতে যশোরে নতুন করে ১৪ ব্যক্তি আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করা হয়। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত জেলায় মোট শনাক্ত হলেন ৩০ জন।

এমন অবনতিশীল পরিস্থিতিতে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটির সভা সকাল সাড়ে ১০টায় যশোর সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত হয়।

সভা সূত্র জানায়, সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তারা করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সম্ভাব্য করণীয় হিসেবে জেলাকে লকডাউন ঘোষণার পক্ষে মতামত দেন।

এ বিষয়ে বিকেলে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা আগামীকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হবে। লকডাউনের আওতায় থাকবে গোটা যশোর জেলা।’

তিনি জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অথচ কোনোভাবেই মানুষকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যাচ্ছে না। সেই কারণে আরও কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে জেলা লকডাউন করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক জানান, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত লকডাউন বলবৎ থাকবে। তবে জরুরি সেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্যের দোকান, কৃষি সংক্রান্ত বিষয়াদি যেমন সার, বীজ, কীটনাশকের দোকান, জ্বালানি স্টেশন প্রভৃতি লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।

এর আগে প্রথমে যশোরের চৌগাছা শহর এবং পরে গোটা উপজেলাকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button