স্বাস্থ্য

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অব্যর্থ প্রথা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করতে হলে শরীরের প্রয়োজন শক্তি এবং পুষ্টি। এই দুটিই নির্ভর করে আপনি কী খাচ্ছেন, তার ওপর। এছাড়াও এটা বোঝা জরুরি যে, রাতারাতি মজবুত ইমিউন সিস্টেম তৈরি হয় না, হয় ধারাবাহিকভাবে স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার খেলে। শরীরে জীবাণু অথবা ভাইরাসের আক্রমণ হলে তা থেকে শরীরকে রক্ষা করে ইমিউন সিস্টেম। সুতরাং জীবাণু বা অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের প্রতিরোধে মজবুত ইমিউন সিস্টেম অতি আবশ্যক।

সুষম খাদ্য ছাড়াও আপনার দৈনিক জীবনের অঙ্গ করে ফেলুন কিছু প্রথাগত প্রতিরোধক্ষমতা-বর্ধক পানীয়, বলছেন ভারতের বেঙ্গালুরুর ফরটিস হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান অনুষ্কা বাইন্দুর:

* কাঁচা হলুদঃ হলুদে ‘কারকিউমিন’ (curcumin) বলে একটি উপাদান আছে, যা কোষ মেরামত করে, এবং রোগ ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়ে।

* তুলসী পাতাঃ এর মধ্যে রয়েছে কিছু জরুরি তৈল, যা সর্দি, কাশি, এবং বুকে কফ জমে যাওয়ার মতো শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যায় উপকার দেয়। এ ক্ষেত্রে তুলসী চা-ও কার্যকর।

* সজনের সুপ: আয়রন এবং ‘এ’ ভিটামিন, এই দুইয়ের উৎকৃষ্ট উৎস সজনে পাতা। এবং এই দুইয়ে মিলে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতাকে মজবুত করবেই।

* মসলার মিশ্রণ: কালো জিরা, ধনে মৌরি, গোলমরিচ, পোস্ত, তুলসী পাতা, আদা, এবং দারচিনি (এ সবই গুঁড়ো পাওয়া যায়) চার কাপ জলে গুলে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে কাচের পাত্রে ভরে রাখুন। রোজ অল্প অল্প খান। বিশেষ করে সর্দি কাশিতে খুব উপকারি।

করোনাভাইরাস মহামারী আমাদের জীবনের প্রাত্যহিক অঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই প্রতিরোধক্ষমতা-বর্ধক পানীয়ের রেসিপি দিয়েছেন একাধিক খাদ্য বিশেষজ্ঞ। তেমনই একটি আপনিও বানিতে ফেলতে পারেন:

উপকরণঃ

* এক চিমটি আদা
* গোলমরিচ
* হলুদ
* দারচিনি
* লবঙ্গ
* পানি – ৫০০ এমএল
* মধু, যদি ডায়াবেটিক না হয়ে থাকেন

সব উপকরণ একসঙ্গে ফোটাতে থাকুন যতক্ষণ না পানির পরিমাণ অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে। আগুন নিভিয়ে মিশ্রনটি ছেঁকে নিন। কাচের পাত্রে ভরে রাখুন। প্রতিদিন অল্প অল্প করে খান।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button