আন্তর্জাতিক

দিল্লির সহিংসতায় নিহত ২০

ভারতের দিল্লিতে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ২৫০ জন। জিটিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, বুধবার ভোটে হিংসার দরুণ আরও ৭ জন নিহত হয়েছেন। আদালতের নির্দেশের ওপর ভরসা না করে পুলিশকে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর, পারভেশ সিং, কপিল মিশ্র সহ রাজধানীতে হিংসার জন্য জড়িতদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ করা হয়েছে? তা জানাতে এদিন ১২.৩০ পর্যন্ত দিল্লি পুলিশকে সময় দিয়েছে আদালত।

এদিকে, নজিরবিহীনভাবে মঙ্গলবার রাত পৌনে ২টা পর্যন্ত দিল্লি সহিংসতা নিয়ে মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। বিচারপতি এস মুরলিধরের বাড়িতেই চলে শুনানি। দিল্লি পুলিশকে বিচারপতি এস মুরলিধর ও বিচারপতি এ জে ভমম্বানী বেঞ্চের নির্দেশ, অবিলম্বে মুস্তাফাবাদের ছোট হাসপাতাল থেকে দিল্লি হিংসায় জখমদের বড় হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। আজ দুপুরে ফের হবে শুনানি। হাইকোর্টে রিপোর্ট দিতে হবে দিল্লি পুলিশকে।

বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একটি ফোরাম মঙ্গলবার গভীর রাতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। তাদের দাবি ছিল, মুস্তাফাবাদে আহতদের চিকিৎসার জন্য যেতে ইচ্ছুক মেডিক্যাল টিম ও আহতদের নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুল্যান্সকে যেন পুলিশি নিরাপত্ত দেয়া হয়।

দিল্লির সহিংসতা রুখতে মাঠে নামলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। মধ্যরাতেই ঘুরে দেখেন রাজধানীর পরিস্থিতি। বৈঠক করেন দিল্লি পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সাক্ষাৎ করেন উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট বৈঠকে দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে রিুপোর্ট জমা দেবেন অজিত দোভাল।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে এখনও অশান্তির আগুনে জ্বলছে দিল্লি। রাজধানীর উত্তর-পূর্ব এলাকায় হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০, জিটিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ১৪৪ ধারা জারি করা সত্ত্বেও চাঁদবাগ এলাকায় নতুন করে আগুন লাগানোর এবং পাথর ছোড়ার খবর পাওয়া যায়।

অন্যদিকে, গতকাল সিএএ-বিরোধী ধর্নার কেন্দ্রস্থল জাফরাবাদ রোড খালি করে দেয় দিল্লি পুলিশ। মৃতের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর-পূর্ব দিল্লির কিছু এলাকায় জারি করা হয় দেখামাত্র গুলি করার বা ‘শুট অ্যাট সাইট’-এর নির্দেশ। পরিস্থিতি বুঝে ওই এলাকায় বুধবার দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন। বন্ধ থাকবে এলাকার সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলও।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button