খুলনা বিভাগ

কেশবপুরের কৃতি সন্তান সু-সাহিত্যিক মনোজ বসুর জন্ম বার্ষিকী পালন

যশোর ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: যশোর কেশবপুরে সু-সাহিত্যিক, মনোজ বসুর ১১৯ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে, মনোজ বসুর জন্ম ১৯০১ সালের ২৫ জুলাই, বাংলাদেশের যশোর জেলার কেশবপুর থানার ডোঙ্গাঘাট গ্রামে। ১৯১৯ সালে কলকাতার রিপন কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনা করে প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স পাস করেন তিনি।
এরপর খুলনার বাগেরহাট কলেজে ভর্তি হন। এখানে পড়ার সময়ই তিনি বিপ্লবী দল যুগান্তরের সংস্পর্শে আসেন এবং স্বদেশি আন্দোলনে যোগ দেন।
কলকাতার ভবানীপুরে সাউথ সুবারবন স্কুলে শিক্ষকতা নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন মনোজ বসু।
দীর্ঘদিন  শিক্ষকতার পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তক রচনায় মনোনিবেশ করেন। প্রতিষ্ঠা করেন নিজের প্রকাশনা সংস্থা বেঙ্গল পাবলিশার্স। পরে সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে শিক্ষকতা পেশা পরিত্যাগ করেন।

১৯৪৩ সালে রচনা করেন তার সর্বাধিক জনপ্রিয় গ্রন্থ ‘ভুলি নাই’। তার রচিত একাধিক উপন্যাস ও গল্প হিন্দি, ইংরেজি, গুজরাটি, মারাঠা ও মালয়ালাম ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ণও হয়েছে।

তার কাব্যগ্রস্থ: বঙ্গলক্ষী, বিচিত্রা, উপন্যাস: নিশিকুটুম্ব, ভুলিনাই, সৈনিক, বাশেরকেল্লা: গল্প: বনমর্মর, নরবাধ: ভ্রমন কাহিনী : চীন দেখে এলাম, নূতন ইউরোপ নূতন মানুষ সোভিয়েতের দেশে: নাটক:নূতন প্রভাত, বিপর্যয়, রাখিবন্ধন শেষ লগ্ন উল্রেখযোগ্য। তিনি সাহিত্য একামেডী পুরস্কার শরৎচন্দ্র পুরস্কার, মতিলাল ঘোষ পুরস্কার পেয়েছিলেন।
মনোজ বসুর জন্ম বার্ষিকী প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি  এসএম রুহুল আমিন, বিশেষ অতিথি এস আর সাঈদ, ইয়ার মাহমুদ, কবি ও সাহিত্যিক হাসেম আলী ফকির প্রমুখ।

এসময় অতিথিরা মনোজ বসু জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন,
মনোজ বসু (১৯০১-১৯৮৭) বিংশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তিনি ছিলেন কেশবপুরের গর্ব কেশবপুরের কৃতি সন্তান,
সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র মনোজ বসু। বাংলার মাটি, মানুষ, আকাশ, জলপাই রংয়ের গাছ গাছালি, গঙ্গা পদ্মার শব্দ নৈশব্দের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে মনোজ বসুর সাহিত্যকর্ম।

কেশবপুরের এই কৃতিসন্তান সুসাহিত্যিক মনোজ বসু ১৯৮৭ সালে ২৭ ডিসেম্বর মৃত্যবরণ করেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button