ডেঙ্গু জ্বর পরবর্তী সময়ের ডায়েট
ডেঙ্গু জ্বর, বর্তমান সময়ের অনেক আলোচিত একটি বিষয়। অনেকেই এবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। ডেঙ্গু জ্বর চলাকালীন ডায়েট বা সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা যেমন জরুরি ঠিক তেমনি, ডেঙ্গু জ্বর পরবর্তী খাদ্য ব্যবস্থা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর শারীরিক শক্তি ও পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করা খুব জরুরি। কেননা, ডেঙ্গু জ্বর চলাকালীন সময়ে অনেকেই তেমন খেতে পারেননা। আর ডেঙ্গু জ্বরের ধকলটা অনেকদিন থাকে। তাই শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। আবার ডেঙ্গু জ্বরের পর অনেকের চুল পড়ে, ত্বকের ক্ষতি হতেও দেখা যায়। তাই ডেঙ্গু জ্বর থেকে সেরে ওঠার পর দৈনিক সুষম খাদ্য খেতে হয়।
ডেঙ্গু জ্বর পরবর্তী খাদ্য হিসেবে প্রোটিন, ভিটামিনস, মিনারেল ও তরল খাবার খাওয়া খুব জরুরি। প্রোটিন রক্ত গঠন ছাড়াও কোষের সুস্থতার জন্য একটি জরুরি পুষ্টি উপাদান।
মুরগির স্যুপ, ডিম, পাতলা দুধ বা ছানা, দই, মাছ ইত্যাদি খাবার থেকে আসে প্রোটিন।
ডেঙ্গু জ্বরের কারণে যদি গ্যাসটিকের সমস্যা থাকে, তবে দুধ সরাসরি না খেয়ে বাড়িতে একটু ছানা করে খেলে ভালো। দুধের ছানা খেলে শরীরের দুর্বলতা অনেক কেটে যায়।
মুরগির সঙ্গে সবজির পাতলা স্যুপ করে খেলেও তরলের চাহিদা পূরণ হয়, প্রোটিন ও ভিটামিন পাওয়া যায়। স্যুপ খেলে দুর্বলতা কমে।
ভিটামিন যুক্ত খাবার শরীরের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা ডেঙ্গু জ্বর পরবর্তীতে খুব জরুরি।
তাজা ফলের রস ( চিনি ছাড়া), ডাবের পানি, আখের গুড়ের শরবত, ফ্রেশ ফল, ফলের স্মুদি যেকোনো ভাবে ফল খেলে তা থেকে এনার্জি পাওয়া যায়। ফলের পটাশিয়াম, খাদ্য আশ, ভিটামিন সি ও অনান্য ভিটামিনস পাওয়া যায়। বেদানা অনেক উপকারী ফল, ডেঙ্গু জ্বর চলাকালীন এবং পরবর্তীতে নিয়মিত বেদানা খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া মাল্টা, কমলা, পাকা পেঁপে, কলাও খেতে হবে নিয়মিত। রঙিন ফল স্কিন ও চুলের রিকভারিতেও খাওয়া জরুরি।
ভিটামিন কে, ই, এ সমৃদ্ধ শাক-সবজি ব্রোকলি, পালংশাক, পেঁপে, ছাড়াও গাঢ় সবুজ রঙের সবজি ডেঙ্গু জ্বর চলাকালীন এবং পরবর্তীতে খুব উপকারী। স্যুপ করে, জুস করে অথবা মাছ দিয়ে পাতলা ঝোল করে খেতে পারেন।
ডেঙ্গু জ্বর চলাকালীন এবং পরবর্তীতে ভাজা পোড়া খাবার, অতিরিক্ত তেল- মশলায় রান্না বা বাইরের কেনা খাবার এড়িয়ে চলুন।