আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরে তরুণকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, বহু পরিবার জানে না সন্তান কোথায়

জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখন পর্যন্ত ৪১০০ জনকে গ্রেফতার করেছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। এ পর্যন্ত ৬০৮ জনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত জনসুরক্ষা আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রায় সকলকেই উপত্যকার বাইরে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের নানা জেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কাশ্মীর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ধারাবাহিক এই গ্রেফতারি অভিযান এখনও চলছে। সুতরাং গ্রেফতারির সংখ্যা বাড়বে। গ্রেফতার হয়েছেন মূলত তরুণেরা। রাজনৈতিক নেতা, হুরিয়ত নেতা, বিভিন্ন নাগরিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা- প্রশাসন যাদের ‘বিপজ্জনক’ মনে করেছেন, তাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবে সরকারিভাবে আটকের সংখ্যা জানানো না হলেও প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আটকের প্রকৃত সংখ্যা ৪১০০-রও অনেক বেশি। বিভিন্ন থানার লকআপ ভরে যাওয়ার পরে বহু তরুণকে নিরাপত্তা বাহিনীর শিবিরগুলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাদের সংখ্যা পুলিশ কর্তার হিসেবের বাইরে থেকে গেছে। সেখানে কাউকে যেতে দেয়াও হচ্ছে না। বহু পরিবারই জানে না নিরাপত্তা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে তাদের ছেলে কোথায় আছে।

এদিকে কাশ্মীরে টানা ২২ দিন মোবাইল ফোনের সংযোগ বন্ধ। ইন্টারনেটও। বাস চলাচল কবে শুরু হবে, খবর নেই। তার মধ্যেই উপত্যকার বাইরের স্বজনদের সঙ্গে দু’টো কথা বলতে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে প্রশাসনের গড়ে দেওয়া টেলিফোন বুথের সামনে লাইন দিচ্ছেন উদ্বিগ্ন কাশ্মীরিরা। সেখানে ৫০০ লোক পিছু সিআরপি-র বরাদ্দ পাঁচটি মোবাইল ফোন। দোকান-পাট, বাজার, এমনকি ওষুধের দোকানও বন্ধ। স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের সেখানে পাঠানোর সাহস করেননি অভিভাবকেরা। এর পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেগুলি। রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক রোববারও বলছেন, কাশ্মীর শান্ত। তবে সেখানকার বাসিন্দাদের কথায়, এ যেন কবরের শান্তি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button