বিনোদন

শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এটিএম শামসুজ্জামান

শ্বাসকষ্টের কারণে বর্ষীয়ান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে অভিনেতার করোনার কোনও উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে কোয়েল আহমেদ।

মূলত অ্যাজমাজনিত কারণেই বেড়েছে শ্বাসকষ্ট।  শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার সঙ্গে বুকে শব্দও হচ্ছিল।  পাশাপাশি রেগুলার চেকআপ করার সময়ও হয়েছিল।  তাই তড়িঘড়ি করেই বাবা এটিএম শামসুজ্জামানকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন মেয়ে কোয়েল আহমেদ।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অভিনেতাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চেকআপ করাতে নিয়ে যান কোয়েল।  তবে শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় অভিনেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন ডাক্তার। এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দেশের ছোট ও বড়পর্দার তুমুল জনপ্রিয় এ বর্ষীয়ান অভিনেতা। তার শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলেই জানান কোয়েল।

শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি করোনার আর কোনও লক্ষণ আছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে কোয়েল জানান, তার বাবার করোনার আর কোনও উপসর্গ নেই। তবে বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামীকাল রিপোর্ট হাতে এলেই বিস্তারিত জানা যাবে।

কোয়েল আরও বলেন, এর আগে দু’দিন ধরে আব্বার বমি হচ্ছিল। তখন আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি ভর্তি হতে চাননি। পরে আজ দুপুরে খাওয়ার পরে দেখি ওনার শরীরটা বেশ খারাপ। তখন জোর করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ঠাণ্ডাসহ বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে।

১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে এটিএম শামসুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন।  ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি।  প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়।  এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা।  এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- জলছবি, জীবন তৃষ্ণা, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, যে আগুনে পুড়ি, মাটির ঘর, মাটির কসম, চিৎকার ও লাল কাজল ইত্যাদি।

তবে ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক ঘটে।  ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে।  সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। এখন পর্যন্ত পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তি। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button