রংপুর বিভাগসারাদেশ

উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় ৩৫০ জনকে আসামী করে মামলা, আটক ৪

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে গত ২৮ জুন নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রিন কারখানায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নগদ ৯০ লাখ টাকা লুটসহ ১৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার পরের দিন গত ২৯ জুন ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। পরচুলা তৈরির ওই প্রতিষ্ঠানির নির্বাহী পরিচালক ফিলিক্স ওয়াই সি চ্যাং এর দায়ের করা ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোমিনুল ইসলাম।
পুলিশ এবং মামলার বিবরণে জানা যায় , ওই দিন শ্রমিক আন্দোলনকে পুঁজি করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের জন্য লকারে রাখা উল্লেখ পরিমান নগদ টাকা লুট করে। এছাড়া হামলার মাধ্যমে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ২টি কাভার্ড ভ্যান, ৪৫০ টি সিসি ক্যামেরা, ৩২০টি কম্পিউটার ও হার্ডডিস্ক, ১০ টি মটর সাইকেল ৫০ টি বাইসাইকেল, আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে ফেলা হয়। প্রায় দেড় থেকে দুইশ সন্ত্রাসীরা প্রত্যেকেই মুখোশ ও হেলমেট পরিধান করে হাতে স্ক্রুগজ, হাতুরি,লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে প্রায় ৩ ঘন্টা যাবৎ ওই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের উপমহা- ব্যবস্থাপক ফেরদৌস উল আলম বলেন, এ কারখনায় প্রায় ১৭ হাজার শ্রমিক কাজ করে। করোনাকালীন সময়ে আমারা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করেছি। শ্রমিকদের সাথে কিছুটা সমস্যা ছিল তবে সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে অনিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন শ্রমিকদের দ্বারা কখনোই সম্ভব না। তিনি আরও জানান আমি শ্রমিকদের চিনি। যারা হামলা চালিয়েছে তারা কারখানার কেউ না। তারা টার্গেট করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হামলা করেছে। তার উন্নয়নের ধারাকে নস্ট করার জন্যই এ হামলা চালিয়েছে। তিনি নিরাপত্তা ও ঘটনার বিচার দাবি করে বলেন তা নাহলে বিকল্প চিন্তা করা হবে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোমিনুল ইসলাম বলেন, এভারগ্রিন কতৃপক্ষের দায়ের করা মামলাটি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তিনি তাদের নাম প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button