রংপুর বিভাগসারাদেশ

সৈয়দপুরে ইচ্ছা মতো এলপিজির মূল্য আদায়, নিয়ন্ত্রণে নেই কেউ

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: সরকার মুল্য কমালেও নীলফামারীর সৈয়দপুরে লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম ইচ্ছামত আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ অধিকাংশ গ্রাহকের। মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রনে সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা না থাকায় এ খাতে চলছে নৈরাজ্য। বাড়তি মূল্যে বিপাকে পড়েছে ক্রেতারা।
বিপিসি সূত্রে জানা যায়, সাড়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের সরকারি মূল্য ৬০০ টাকা। এটি সরকারের নিজস্ব উৎপাদিত মূল্য। সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে বসুন্ধরা, ওমেরা, বেক্সিমকো, পেট্রোমেক্স, টোটাল, বিএম, এনার্জিপ্যাকে জি গ্যাস, লাফস, ইউরো, ইউনিভার্সাল, যমুনাসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের এলপিজি সিলিন্ডার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বেশি দামে অর্থাৎ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি করছে। আবার একই ব্রান্ডের এলপিজি সিলিন্ডার বিভিন্ন দোকান ভিন্ন দামে বিক্রি করতে দেখা যায় দোকানদারদের। জানতে চাইলে দোকানদাররা বলেন, সরকারের নিজস্ব উৎপাদিত গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য কমালেও বেসরকারি ব্রান্ডের কোম্পানী মালিকরা মূল্য না কমানোই তাদের পূর্বের মূল্যেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
শহরের ইসলামবাগ এলাকার শাহনাজ পারভীন নামে এক গৃহিনী বলেন, গত মাসে ওমেরা ব্রান্ডের গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে ছিলাম ৮৫০ টাকায়। টিভির খবরে দেখলাম সরকার সিলিন্ডারের দাম কমিয়েছে। চলতি মাসের ৭ তারিখে গ্যাস সিলিন্ডার নিতে গেলে দোকানদার তার কাছ থেকে আগের মূল্য দাবি করে। দোকানদারকে সরকারের মূল্য হ্রাসের কথা বললে তিনি বলেন, আমার সিলিন্ডার আগের কেনা তাই দাম কমানো সম্ভব নয়। বাবুপাড়া এলাকার বাসিন্দা আজাহার আহমেদ বলেন, গত ৮ আগস্ট বসুন্ধরা ব্রান্ডের এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে হয়েছে ৮৮০ টাকায়। তিনিও দাম কমার কথা বললে দোকানদার একই উত্তর দেন।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (দিনাজপুর অঞ্চল) মমতাজ বেগম বলেন, যেহেতু সরকারের সিদ্ধান্তে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য কমানো হয়েছে সেক্ষেত্রে কেউ যদি পূর্বের মূল্যে বিক্রি করে, তাহলে অবশ্যই তিনি ২০০৯ সালের ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার আইনের ৪০ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধে অপরাধি হবেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button