রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

তুঁত ফল উদ্ভিদ পরিচিতি নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এ.এস.এ সোহাগ এর বিশেষ প্রতিবেদন

চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ তুঁত (ইংরেজি: Mulberry) গাছের দুই প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম যথাক্রমে Morus nigra এবংMorus rubra। তুঁত গাছের পাতা রেশম গুটি পোকার প্রিয় খাদ্য।
এর ফল রসাল এবং সুস্বাদু হলেও বাংলাদেশে তুঁত কখনো ফলের জন্য চাষ করা হয় না। তবে আফগানিস্তান, উত্তর ও দক্ষিণ ভারত প্রভৃতি স্থানে তুঁত চাষ করা হয় ফলের জন্য। তুঁত গাছ পাতা ঝরা প্রকৃতির ছোট ধরনের বৃক্ষ। পাতা ডিম্বাকার, খসখসে, পাতার প্রান্তভাগ করাতের মত খাঁজ কাটা এবং অগ্রভাগ সূঁচাল।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেকগুলো ফল মিলে একটি ফল তৈরি করে, ফল বেরী জাতীয়। এ দেশে তুঁত গাছ প্রচুর ফুল আসে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মৌসুমে এবং ফল পাকে মার্চ-এপ্রিল মৌসুমে। কাচা ফলের রং সবুজ, কিন্তু পাকলে টকটকে লাল ও সর্ম্পণ পাকলে কালচে হয়ে যায়।
কাচা পাকা ফল যখন গাছে প্রচুর ধরে থাকে তখন তা এক দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যের সৃষ্টি করে।
এদেশে সাধারণত শাখা কলম বা শীতকালে ছাঁটাই করা ডাল মাটিতে পুঁতে নতুন গাছ তৈরি করা হয়। তবে বীজ দিয়েও চারা তৈরি করা যায়। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি তুঁত চাষ করা হয় রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
তুতেঁর লালচে কালো ফল খুবই রসালো, নরম, মিষ্টি টক ও সুস্বাদু। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য পাকা তুঁত ফল উপকারী। এ ছাড়া পাকা ফলের টক-মিষ্টি রস বায়ু ও পিত্তনাশক, দাহনাশক, কফনাশক ও জ্বরনাশক। তুঁত গাছের ছাল ও শিকড়ের রস কৃমিনাশক। পাকা লালচে কালো বা কালচে ফলের প্রজাতি। এদের গাছও তুলনামুলকভাবে খাটো। Morus alba প্রজাতির ভিন্ন এক তুঁত দেখা যায় যার ফল সাদা বর্ণের, পাকলে হয় হালকা গোলাপী সাদা। এ ফল টক নয়, স্বাদে খুব মিষ্টি ও রসালো। মূলত এ প্রজাতির তুঁত ফলের জন্য চাষ করা হয়। পাকা তুঁত ফলের রস থেকে জ্যাম, জেলি ও স্কোয়াশ বা পানীয় তৈরি করা যায়।
কাগজ  সম্পাদনা
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার খমের সাম্রাজ্য আংকোরিয়ান যুগে, বৌদ্ধ মন্দিরের সন্ন্যাসীরা তুঁত গাছের ছাল থেকে কাগজ তৈরি করতো। কাগজগুলো বই তৈরিতে ব্যবহৃত হতো যা ক্রাইং নামে পরিচিত ছিল।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button