স্বাস্থ্য

অতি স্ট্রেচিংয়ের সমস্যা

শরীরচর্চা মানেই ক্রাঞ্চ, প্লাঙ্ক, স্ট্রেচিংয়ে আস্থা রাখা। স্ট্রেচিং জন্য ভাল, এমনটাই প্রচলিত ধারণা। তবে অনেকে এই ধারণার বশে স্ট্রেচিংকেই ফিটনেসের মূলমন্ত্র করে নিয়েছেই। একটানা বসে থাকার মাঝখানে, ব্যায়ামের আগে, ব্যায়ামের শেষে, ঘুম থেকে উঠে৷ অর্থাৎ যখন–তখন স্ট্রেচিং অভ্যাস করায় বিরাম নেই৷ কিন্তু আধুনিক গবেষণা অন্য কথা বলছে!

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ‘জার্নাল অব মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্স ইন স্পোর্টস জার্নাল’ প্রকাশিত এক বিজ্ঞান প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানালেন, ব্যায়াম শুরু করার আগে শরীরের জড়তা ভাঙতে হালকা স্ট্রেচিং করা উচিত৷ কিন্তু এই স্ট্রেচিং আপনাকে মাংসপেশিতে আঘাত লাগা এড়াতে সাহায্য করবে ভেবে তা যদি প্রবল ভাবে শুরু করে দেন, তা হলে কিন্তু সমস্যা হতে পারে৷

অতি স্ট্রেচিংয়ের সমস্যা:

যাঁরা মূল ব্যায়াম করার আগে স্ট্যাটিক স্ট্রেচিংকে ওয়ার্ম আপ হিসেবে নেন, ব্যায়ামের সময় তাঁদের মাংসপেশির জোর প্রায় ৫.৫ শতাংশ কমে যায়৷ তার ফলে ৮.৩ শতাংশ কম ওজন তুলতে পারেন তাঁরা৷ কখনও আবার কম জোর নিয়ে বেশি ওজন তুলতে গিয়ে চোটও লাগে৷ কাজেই, বিজ্ঞানীদের মত হল, বড়সড় ব্যায়ামের অভিজ্ঞতা না থাকলে ট্রেনারের পরামর্শ মতো চলুন৷ সমস্যা কম থাকবে৷

ঘন ঘন স্ট্রেচিং বা স্ট্রেচিং নির্ভর শরীরচর্চায় অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়। মাংসপেশির জোর কমে টান ধরতে পারে। পেশিতে যন্ত্রণাও শুরু হতে পারে ঘন ঘন টান পড়ায়। এর সঙ্গে দুর্বলতা, খিঁচ লাগার মতো জটিলতাও তৈরি হতে পারে। তাই ব্যায়ামের মধ্যে ভারসাম্য রাখুন। স্ট্রেচিংকে বাড়াবাড়ির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া অনুচিত।

মাঝারি ব্যায়াম করা মানুষের কাছে এটুকু তফাত তেমন কিছু নয়৷ কিন্তু বডি বিল্ডারদের ক্ষেত্রে এটুকুতেই প্রচুর পার্থক্য হয়ে যেতে পারে৷ কাজেই তাঁদের উচিত ওয়ার্ম আপ পর্যায়ে হালকা স্ট্রেচিং করা৷ আর ব্যায়ামের পর ভাল করে স্ট্রেচিং করে নেওয়া৷

বিশেষজ্ঞদের মতে, অল্পস্বল্প ব্যায়াম করলেও কিন্তু এই নিয়ম মেনে চলা উচিত। তাতে ফিটনেস বাড়বে আরও। মাংসপেশির জোরও বাড়ে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button