জাতীয়

মানবপাচার: যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্টেও এমপি পাপুল

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম পাপুলের মানবপাচারের ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাফিকিং ইন পার্সন রিপোর্ট। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্প রিপোর্টটি উদ্বোধন করেন। যেখানে মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে আটক বাংলাদেশি এই সংসদ সদস্যের বিষয়টিও উল্লেখ্য রয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংসদ সদস্যসহ সরকারের কর্মকর্তারা বিদেশে চাকরি দেওয়ার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। যা অভিবাসনবান্ধব পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক। এর ফলে রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের ঠকায় এবং তাদেরকে সুরক্ষার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত করে।
পাপুলের মানবপাচার ঘটনার উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, কুয়েতি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে ২০,০০০ বাংলাদেশিকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কুয়েতে নিয়ে যায় পাপুল। তাদের যে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার বেশিরভাগই ওই চাকরি পায়নি। যে বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল তার থেকে কম বেতন পেয়েছে অথবা একদম পায়নি। মিডিয়া এ বিষয়ে ২০১৫ থেকে বিভিন্ন রিপোর্ট করেছিল বলে উল্লেখ করা হয়।
মালয়েশিয়াতে মানবপাচারের বিষয়ে বলা হয়, ওই দেশের এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সিগুলো এবং বাংলাদেশের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি উভয় দেশের কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের ঘুষ দিয়ে গোটা প্রক্রিয়াটি নিজেদের কাছে কুক্ষিগত করে রেখেছিল এবং প্রতিটি ব্যক্তির কাছ থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে। যদিও মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য সরকারের নির্ধারিত ফি ছিল ৩৭,০০০ টাকা। এর ফলে অভিবাসীরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। দুইবার সতর্ক বার্তা পাওয়ার পরে নভেম্বরে সরকার তাদের তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেয় এবং এর শুনানি এখনও বাকি আছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button