রংপুর বিভাগ

উৎপাদিত তুলা বিক্রি না হওয়ায় সংকটে কুড়িগ্রামের চাষীরা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: করোনা প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে। করোনার প্রাদুর্ভাবে ভালো নেই কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর তুলা চাষীরাও। লকডাউনের কারনে তারা বিক্রি করতে পারছেন না উৎপাদিত তুলা। তাদের সাড়া বছরের পরিশ্রমে উৎপাদিত ফসলে ইঁদুরেরা গড়ে তুলছে বসতঘর।
উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাটারি গ্রামের তুলাচাষী রফিকুল ইসলাম (৫০), জমির উদ্দিন (৭০), আঃ জব্বার (৭৮), জয়নাল আবেদীন (৪৫), সুলতান আলী (৬৫) ও ইউসুফ আলী (৪০) জানান, আমরা এ বছর এই এলাকার চল্লিশ জন কৃষক তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পরামর্শে প্রায় ৫৮ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি। তুলা ক্ষেতে সঠিকভাবে পরিচর্যা করার কারনে ফলনও ভালো হয়েছে। আমরা সকল তুলাচাষী ফসল বাড়ীতে তুলেছি। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও তুলা উন্নয়ন বোর্ড আমাদের কাছ থেকে সে তুলা এখনও কিনছে না। অন্যদিকে ঘরে রাখা তুলার বস্তায় ইঁদুরের উৎপাত শুরু হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের কষ্টের ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।
তারা আরও বলেন, আমাদের অনেকেই অন্যের জমি বর্গা নিয়ে তুলাচাষ করেছে। ফলে জমির মালিক ফসল ঘরে তোলার পর থেকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। তুলা বেচতে না পারলে আমরা টাকা কিভাবে দেব। তুলা চাষের উপড়ই চলে আমাদের জীবন-জীবিকা। তুলা বেচতে না পারায় বর্তমানে আমাদের করুন অবস্থায় দিনযাপন করতে হচ্ছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ড ছাড়া অন্য কারো কাছে তুলা বিক্রির সুযোগ না থাকায় অতি শীঘ্রই তাদের উৎপাদিত তুলা কেনার জন্য তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা কটন ইউনিট অফিসার লুৎফর রহমান বলেন, এ বছর আবওহাওয়া অনুকূল থাকায় উপজেলায় তুলা উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ৫শ’ মণ থাকলেও এর চেয়ে অনেক বেশি উৎপাদিত হয়েছে। করোনা সংকটের মধ্যেও আমরা কৃষকের উৎপাদিত তুলা কেনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি। চলতি মাসের মধ্যেই সকলের তুলা কেনা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button