আন্তর্জাতিক

গ্রেটার ডাকে সাড়া দিয়ে পরিবেশরক্ষায় সামিল বিশ্ব

পৃথিবী বিপন্ন। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন যে ভাবে ঘটছে, তাতে শেষের দিন আগতপ্রায়। আর তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিবেশ রক্ষার বার্তা নিয়ে ‘বিশ্ব জলবায়ু বাঁচাও আন্দোলনে’ (গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক) সামিল হল ইউরোপ থেকে আমেরিকা, আফ্রিকা থেকে ভারত প্রায় সারা বিশ্ব।

পরিবেশ বাঁচানোর লক্ষ্যে ‘ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার’ আন্দোলনের সূত্রপাত সুইডেনের ষোড়শী গ্রেটা থুনবার্গের হাত ধরে। সপ্তাহের একটি দিন, শুক্রবার কয়েক ঘণ্টার জন্য পড়াশোনা, কাজ বন্ধ রেখে পরিবেশরক্ষার আন্দোলনে সামিল হবেন পড়ুয়া থেকে চাকুরিজীবী সকলে। গত কয়েক বছর ধরে চলা এই আন্দোলন ছড়িয়েছে নানা দেশে। সেই গ্রেটা থুনবার্গই জলবায়ু সংক্রান্ত আলোচনাচক্রে যোগ দিতে ওয়াশিংটন পৌঁছেছে। সেখান থেকেই শুক্রবার ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’-এর ডাক দিয়েছিল সে। এ দিন রাষ্ট্রপুঞ্জের আলোচনাচক্রে এ নিয়ে বক্তব্যও রাখবে গ্রেটা। রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্মেলনের আগে গ্রেটার পরিবেশরক্ষার ডাকে সামিল হলেন দেশ-বিদেশের পড়ুয়া, চাকুরিজীবীরা।

লন্ডনের মেয়র সাদিক খান তো বটেই এ দিনের জলবায়ু বাঁচাও আন্দোলনে সামিল হয়েছেন প্যারিস, নিউ ইয়র্ক সিটি, লস অ্যাঞ্জেলস, কোপেনহেগেনের মেয়ররাও। ফিলিপিন্স, হংকংয়ে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের বিশাল জমায়েত চোখে পড়ে। সেখানে প্ল্যাকার্ড, বেলুনে পরিবেশরক্ষার বার্তা। নাইরোবিতে পরিবেশ দপ্তরের সামনে পরিবেশপ্রেমীদের বিশাল মিছিল নজর কেড়েছে। সলোমন দ্বীপের নবীন প্রজন্মও এই প্রতিবাদে সামিল হন।

এ দিন দিল্লির লোধি গার্ডেনেও অনেক পড়ুয়া পরিবেশ বাঁচানোর সমাবেশে সামিল হন। তাঁদেরই একজন বনশ্রী থাপা। ২৩ বছরের এ কলেজ পড়ুয়ার বক্তব্য, ‘আমার বাবা ফরেস্ট রেঞ্জার। কিন্তু যদি অরণ্যই না বাঁচে, তা হলে উনি কী রক্ষা করবেন? এটা শুধু জলবায়ু পরিবর্তন নয়, এটা পরিবেশের উপর মানুষের কোপ। এখন পরিবর্তন না এলে আমরাই বাঁচব না।’ বাংলাদেশের কলেজ পড়ুয়ারাও সামিল হয়েছিলেন ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে’।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button