আন্তর্জাতিক

শক্তিশালী টাইফুনে ছারখার জাপান, মৃত বেড়ে ৪৩

হাগিবিসের হানায় জাপানে প্রাণ হারালেন অন্তত ৪৩ জন। নিখোঁজ ১৬। আহত ২০০। জলমগ্ন এলাকায় আটকে রয়েছেন অনেকে।

শিশু-সহ তাঁদের ঠাঁই বাড়ির ছাদে। অপেক্ষা উদ্ধার হওয়ার। ৬০ লক্ষ মানুষকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। সোমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনোজ আবে জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকগুলিতে এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। সেই সংখ্যাটা কত, তা এখনও জানা যায়নি। তবে তাঁদের উদ্ধারের জন্য দিন রাত কাজ চলছে।

শনিবার রাতে জাপানের মূল ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ে ওই ঘূর্ণিঝড়। বিপর্যয়গ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের সহায়তার উদ্দেশ্যে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি প্রভাবিত পরিষেবাগুলি দ্রুত চালু করার ব্যাপারে আশ্বাস দেন। সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন নাগরিকদের। বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারে কয়েক হাজার সেনা, দমকলকর্মী ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কাজে নামানো হয়েছে। যে সব এলাকা বিদ্যুৎহীন, সেখানেও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে তৎপর প্রশাসন।

জাপানে গত ছ’দশকের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে হাগিবিসকে চিহ্নিত করেছেন আবহবিদরা। দেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের নিচু ভূখণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই ঝড়ের জেরে। প্রবল গতিতে হাওয়া এবং কয়েক ঘণ্টার মুষলধারে বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বেড়ে প্লাবিত হয়েছে ভূখণ্ড।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশ নাগানো ও অন্যত্র উদ্ধারকাজের জন্য ২৭ হাজার প্রশিক্ষিত কর্মী পাঠানো হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলির বাসিন্দাদের উদ্ধারে ব্যবহার করা হচ্ছে সেনার কপ্টার। নদীর পাড় ভাঙায় কাদাজল উঠে দিয়েছে দোতলা বাড়িতেও। শক্তিশালী টাইফুনের জেরে জউত্তর ও দক্ষিণের ১৪২ নদীতে বন্যা দেখা গিয়েছে। ২৪টিরও বেশি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে বহু গ্রাম-শহর। চিন, মায়নামার, ভিয়েতনাম, ভারত ইতোমধ্যেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button