অর্থনীতি

আইসিবির বিনিয়োগে শেয়ারবাজারে বড় উত্থান

রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) বিনিয়োগ বাড়ানোয় মঙ্গলবার দেশের শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। ফলে টানা ছয় কার্যদিবস দরপতনের পর ঊর্ধ্বমুখিতায় ফিরল শেয়ারবাজার।

এর আগে গতকাল বিকেলে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিয়ম সভায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস দেয় আইসিবি। আশ্বাস অনুযায়ী বন্ড বিক্রি করে সোনালী ব্যাংক থেকে পাওয়া ২০০ কোটি টাকার একটি অংশ বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠান।

আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল হোসাইন এ বিষয়ে জানিয়েছেন, সোনালী ব্যাংকের কাছ থেকে বন্ড বিক্রির ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এ টাকা আমরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারি ৫টি ব্যাংকের কাছে ২ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। ওই টাকা পেলেও আমরা তা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবো।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজার গতিশীল করতে সরকার খুবই আন্তরিক। অর্থমন্ত্রীসহ সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমরা যেখানেই যাচ্ছি সহযোগিত পাচ্ছি। তাই বাজার শিগগির ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমরা আশা করছি। তাছাড়া এ মুহূর্তে শেয়ারবাজার খারাপ হওয়ার কোনো যুক্তিসংগত কারণ আছে বলে আমার মনে হয় না।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে ডিএসইর লেনদেন তিন’শ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করতে পারেনি।

এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১১০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮২১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭০৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

মূল্যসূচকে বড় উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪টির। আর ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

দিনভার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩২৮ কোটি ৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৯৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ বাজারটিতে ২৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা লেনদেন বেড়েছে।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল টিউবসের ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১০ কোটি ২১ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল।

এ ছাড়া লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সামিট পাওয়ার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ওয়াটা কেমিক্যাল এবং জেএমআই সিরিঞ্জ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক সিএএসপিআই ২৪২ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৬৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪টির। আর ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button