ইয়েমেনে অভিযান বন্ধ না হলে সৌদি তেলক্ষেত্রে আরও হামলার হুমকি
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আরামকোর তেলক্ষেত্রে আরও হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ইয়েমেনে সৌদি অভিযানের বন্ধের দাবিতে এই হুমকি দেয় তারা।
শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আরামকোর দুইটি তেল প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনায় বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। তবে হামলার পেছনে ইরানকে দায়ী করছে রিয়াদ ও ওয়াশিংটন।
ডেইলি সাবাহ জানায়, আরামকোর স্থাপনায় যে কোনো মুহুর্তে আরও হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে হুথিরা। সেইসঙ্গে বিদেশিদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্যও বলে তারা।
হুথি মিলিটারির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া এক টুইটার বার্তায় জানান, সাধারণ এবং জেট ইঞ্জিন পরিচালিত ড্রোনের মাধ্যমে সৌদি পশ্চিমাঞ্চলে আবকায়িক এবং খুরাইশে আরামকোর ওই দুই তেলক্ষেত্রে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি জানান, ইয়েমেনে সৌদি অভিযান এবং আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। নয়তো যে কোনো মুহূর্তে এ ধরনের হামলা আরও চালানো হবে।
এদিকে আরামকোর দুটি তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলার ঘটনায় বৈশ্বিক বাজারে লাফিয়ে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। তেলক্ষেত্র দুটির ব্যাপক ক্ষতির কারণে বৈশ্বিক তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এতে বৈশ্বিক তেল সরবরাহ ৫ শতাংশ কমে গেছে।
বিবিসি জানায়, গত চার মাসের মধ্যে তেলের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ব্রেন্ট ক্রুড ব্যারেল প্রতি ১৯ শতাংশ বেড়ে ৭১.৯৫ ডলারে স্পর্শ করেছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ১৫ শতাংশ বেড়ে ৬৩.৩৪ ডলারে পৌঁছেছে।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেদের রিজার্ভ থেকে তেল সরবরাহের নির্দেশ দিলে দাম কিছুটা কমে আসে। সৌদি আরবের ক্ষতিগ্রস্ত দুটি তেলক্ষেত্রের উৎপাদন শুরু হতে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ হামলার জন্য সরাসরি ইরানকে দায়ী করেছেন। কিন্তু ইরানের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।