আন্তর্জাতিক

অবশেষে ক্ষমা চাইলেন জাকির নায়েক

নিজের বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য অবশেষে ক্ষমা চেয়েছেন ভারতীয় ইসলামি চিন্তাবিদ ও ধর্ম প্রচারক ড. জাকির নায়েক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমি মোটেও কোনো বর্ণবাদী নই। সমালোচকরা আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে নিয়েছেন এবং সকল বক্তব্যে তারা মনগড়া কথা যোগ করেছেন।’

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে নিজের করা মন্তব্যের পক্ষে সাফাই গেয়ে ড. জাকির বলেছেন, ‘যদিও আমি ইতোমধ্যে আমার বক্তব্য পরিষ্কার করেছি। তবুও আমার কথায় আপনাদের যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে এর জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি। এখানে বেশকিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি কারও অনুভূতিতে আঘাত দিতে চাই না।’

বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত এই ধর্ম প্রচারক বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে আঘাত করাটা কখনোই আমার উদ্দেশ্য নয়। এটা ইসলামের মূল শিক্ষার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। এই ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

ভারতীয় এই ইসলামি চিন্তাবিদ আরও বলেন, ‘গোটা বিশ্বে শান্তি ছড়িয়ে দেওয়াই আমার মূল উদ্দেশ্য। আমি দুঃখ প্রকাশ করে বলছি, নিন্দুকেরা আমার এই কাজে সব সময়ই বাধা দিচ্ছে।’

সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় দেশটিতে বসবাসরত ভারতীয় হিন্দু এবং চীনা নাগরিকদের নিয়ে বেশকিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ড. জাকির নায়েক। অনুষ্ঠানে তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত চীনা বংশোদ্ভূতদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের চেয়ে মালয়েশিয়ার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ১০০ গুণ বেশি অধিকার ভোগ করছেন।’ মূলত তার এমন মন্তব্যের পরপরই দেশটিতে তীব্র বিতর্কের শুরু হয়। যদিও ড. জাকির ইতোমধ্যে দাবি করেছেন, তার বক্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

গত কয়েকদিনের ঘটনাগুলোকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তখনকার বিষয়গুলোকে লক্ষ্য করলে দেখবেন মালয়েশিয়ায় আমার বিরুদ্ধে জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। সমালোচকরা নির্দিষ্ট কিছু শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে আমার ওপর আক্রমণ করছেন। তারা আমার বক্তব্যকে রং মাখিয়ে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন। আর এসব ভুল বক্তব্যের কারণেই অমুসলিমরা আমাকে একজন বর্ণবাদী ব্যক্তি বলে মনে করছেন।

বিবৃতিতে ড. জাকির আরও বলেছিলেন, ‘যারা এসব কথায় আঘাত পেয়েছেন তারা বোধয় আমার মূল বক্তব্যটা শোনেননি। এটা আমার কাছে ভীষণ উদ্বেগের কারণ; কেননা এর ফলে ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে মানুষ ইসলাম থেকে অনেকটাই দূরে সরে যাবে।’ তিনি বলেছেন, ‘জাতিবিদ্বেষ শয়তানের কাজ। তাই আমি এর ঘোর বিরোধী। কুরআনেও এর বিরুদ্ধে বর্ণিত আছে। একজন ইসলামিক বক্তা হিসেবে আমি সব সময়ই এ ধরনের কাজের বিরুদ্ধে থাকি, যা এখনো আছি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button