সারাদেশ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ভুয়া মেজর আটক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে চাকুরী দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা নেয়ার অপরাধে আশরাফুল আলম নামে এক যুবককে আটক করেছে সিআইডি পুলিশ।

গত ১৮ মার্চ বুধবার রাতে ফুলবাড়ী উপজেলা সদরে তাকে আটক করা হয়। এ সময় ওই প্রতারকের ব্যাংক হিসাব ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালামাল জব্দ করে সিলগালা করা হয়।

ফুলবাড়ী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়লই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আশরাফুল আলম (৩২) ঢাকায় বেসরকারী কোম্পানীতে চাকুরী করতেন দুই বছর আগে। ওই সময় সে নিজেকে মেজর/বিগ্রেডিয়ার পরিচয় দিয়ে সেনাবাহিনীর চাকুরী দেয়ার প্রলোভনের ফাঁদ তৈরি করে অনেকের টাকা লুটে নেন।

তার ফাঁদে পড়েন বেশ কয়েকজন চাকরির প্রত্যাশি যুবক। এক পর্যায়ে ঢাকা থেকে বাড়ীতে ফিরে সে ফুলবাড়ী পূবালী ব্যাংকে কয়েক লাখ টাকা জমা রাখেন। বাকি টাকা দিয়ে উপজেলা সদরের পুরাতন পূবালী ব্যাংক এলাকায় মেসার্স আশরাফ ট্রেডার্স নামে একটি ক্রোকারিজের দোকান চালু করে ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে ফুলবাড়ী ফিরে এসে উপজেলা সদরের বিকাশ এজেন্ট সাদিক ইলেকট্রনিক্স ও লাকু টেলিকমের মাধ্যমে নতুন করে অনেকের কাছে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগিরা সাইবার পুলিশ সেন্টারে অভিযোগ করেন। অভিযোগকারীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাইবার পুলিশ সেন্টার সহকারী পুলিশ সুপার মোমেনা আক্তারের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল অভিযানে ফুলবাড়ীতে আসেন।

সিআইডি’র সদস্যরা ফুলবাড়ী পূবালী ব্যাংকের সামন থেকে আশরাফুলকে আটক করেন। পরে বিকাশ এজেন্ট সাদিক ইলেকট্রনিক্সের মালিক মাইদুল ইসলাম (৩৫) ও লাকু টেলিকমের মালিক রোকনুজ্জামান লাকু (২৫) কে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আটক করা হয়। মাইদুল ইসলাম উপজেলার পূর্ব চন্দ্রখানা গ্রামের আঃ হামিদের ছেলে এবং রোকনুজ্জামান লাকু পানিমাছকুটি গ্রামের মৃত এহসান আলীর ছেলে।

সিআইডি’র সহকারী পুলিশ সুপার মোমেনা আক্তার জানান, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘ সময় ধরে ফুলবাড়ীতে অভিযান চালানো হয়। পরে প্রতারক আশরাফুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তাকে ঢাকায় নেয়া হবে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button