জাতীয়

করোনার প্রভাবে ঢাকার বায়ুদূষণ ‘সহনীয়’ পর্যায়ে

শুক্রবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে চারটায় দেখা যায়, ‘এয়ার পলিউশন: রিয়েল টাইম এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’-এ ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা ৯৩-তে নেমে আসতে দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্য সময়ে ঢাকা বায়ুদূষণের মাত্রা ২৫০ থেকে ৩০০ পর্যন্ত থাকে। তবে গত সোমবার ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল ১৯৫। পরের দিন মঙ্গলবার ছিল ১৫৭। গতকাল বৃহস্পতিবারও ছিল বায়ু দূষণের মাত্রা ১৫৭। ঢাকার বায়ু দূষণের পরিমাণ আরও কমবে বলেই মনে করছেন পরিবেশ সংশ্লিষ্টরা।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক সচিব প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান ঢাকার বায়ুদূষণ সম্পর্কে  বলেন, যেসব উৎস থেকে বায়ুদূষণ হতো যেমন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ছোট-বড় প্রজেক্ট, যানবাহন ও শিল্প কারখানার কালো ধোঁয়া বর্তমানে সেগুলো বন্ধ। সে কারণেই বায়ু দূষণের মাত্রা ৯৩-তে এসেছে। এ থেকে আমরা শিক্ষা পাই যে, আমরা যদি যথাযথ নিয়ম মেনে পরিবেশের দিকে লক্ষ রেখে কাজ করি তাহলে আমাদের বায়ুর মান ২৫০ থেকে ৩০০ পর্যন্ত যাবে না। সুতরাং যারা বায়ুদূষণের সঙ্গে জড়িত এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের যারা তাদের মনিটরিং করবে, উভয়েই যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে ঢাকার বায়ু স্বাস্থ্যকর থাকবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক জিয়াউল হক বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের একার পক্ষে বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব নয়। শুধুমাত্র আমাদের লোকাল পলিউশন নয় এর সঙ্গে আরও অনেক বিষয় জড়িত রয়েছে। যেমন- বায়ু প্রবাহ, বৃষ্টিপাত, অন্য স্থানের দূষণ হলেও তার প্রভাব ঢাকাতে হতে পারে। বায়ুদূষণের মূল কারণগুলো সরকারের অন্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কমানো গেলে ঢাকার বায়ু মোটামুটি স্বাস্থ্যকর রাখা সম্ভব।

আন্তর্জাতিক মান অনুসারে বায়ুর মান শূন্য থেকে ৫০ থাকা মানে বায়ু স্বাস্থ্যকর। ৫০ থেকে ১০০ হচ্ছে সহনীয় অবস্থা। ১০০ থেকে ১৫০ সংবেদনশীল, ১৫০ থেকে ২০০ অস্বাস্থ্যকর, ২০০ থেকে ৩০০ খুবই অস্বাস্থ্যকর, ৩০০ থেকে ৫০০ হচ্ছে বিপদজনক অবস্থা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button