খেলালিড নিউজ

শিরোপাস্বপ্ন পূরণ হলো বাংলাদেশের

বৃষ্টির কারণে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার খেলা বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টির কারণে আর খেলা না হলে বাংলাদেশ ১৬ রানে জিতবে।

ডিএলএস মেথডে এ ম্যাচে বাংলাদেশ ১৬ রানে এগিয়ে রয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আইসিসির ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপের অফিসিয়াল টুইটার পেজ।

উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ রান করা বাংলাদেশের হঠাৎ ছন্দপতনে ৮৫ রানে ৫ ব্যাটসম্যান হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ১০২ রানের মাথায় অভিষেক দাস সাজঘরে ফিরলে বিপদ আরও ঘনীভূত হয়। এসময় টাইগাররা ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে পড়ে। ৬ উইকেট হারানোর পর সেখান থেকে দলকে নিয়ে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক আকবর ও পারভেজ হোসেন ইমন।

যদিও রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমনকে নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল বাংলাদেশের সমর্থকদের। কিন্তু চোট পাওয়া পা নিয়েই সপ্তম উইকেটে মাঠে নেমে দুর্দান্ত ব্যাট করে জয়ের প্রায় দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছিলেন এ প্রতিশ্রুতিশীল ব্যাটসম্যান।

ইমনের খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে রানিং বিটুইন দ্য উইকেট দেখে অনেকেরই কষ্ট লেগেছে তার জন্য। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে সাজঘরে ফেরার পর আবারও শংকা জাগে বাংলাদেশ শিবিরে। দলীয় ১৪৩ রানে ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সামনে এখন ভরসা অধিনায়ক আকবর আলী। তার সঙ্গে উইকেটে যোগ দিয়েছেন রকিবুল।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৪১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান সংগ্রহ করেছে। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩০ বলে প্রয়োজন আর মাত্র ৭ রান। হাতে ছিল তিন উইকেট। ঠিক ওই সময়ে নামে বৃষ্টি।

এর আগে ১৭৮ রান করলেই বিশ্বকাপ ট্রফি নিশ্চিত-এমন সমীকরণে খেলতে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনীতে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ৮.৫ ওভারে ৫০ রানের জুটি গড়েন।বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ২৫ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৭ রান করে ফেরেন তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিম।

কিন্তু তখনই ঘটে ছন্দপতন। ৬৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ভারতীয় লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণুর বল খেলতেই পারছিলেন না বাংলাদেশি যুবারা। নিজের করা প্রথম ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে বাংলাদেশের ৩ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান ১৯ বছর বয়সী ভারতীয় এ লেগ স্পিনার। দলীয় ৬৫ রানে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন শাহাদাত হোসেন।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে যায় ভারতীয় যুব দল। দলীয় ৯ রানে ভারতীয় ওপেনার দিব্বাংশ সাক্সেনাকে সাজঘরে ফেরান অভিষেক দাস।

এরপর তিনে ব্যাটিংয়ে নামা তিলক ভার্মাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন যশস্বী জসওয়াল। এই জুটিই বেশি ভুগিয়েছে বাংলাদেশি যুবাদের। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৪ রানের জুটি গড়েন জসওয়াল ও ভার্মা। তিলক ভার্মাকে আউট করে জুটির বিচ্ছেদ ঘটান তানজিম হাসান সাকিব। দলীয় ১০৩ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিলক ভার্মা। তার আগে ৬৫ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩৮ রান করেন তিনি।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশি যুবারা। ভারতীয় অধিনায়ক প্রিয়াম গার্গকে দ্রুত সাজঘরে ফেরান রাকিবুল হাসান।

ভারতীয় শিবিরে এরপর জোড়া আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের শুরু থেকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া ভারতীয় ওপেনার জসওয়ালকে সাজঘরে ফেরান শরিফুল। তার বলে তানজিম হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন জসওয়াল। তার আগে ১২১ বলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় ৮৮ রান করেন ভারতীয় এ ওপেনার।

ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই শরিফুলের দ্বিতীয় শিকার সিদ্ধেশ বীর। তিনি এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন। পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন শরিফুল। কিন্তু পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে উইকেটে সাফল্য না পাওয়ায় হ্যাটট্রিক হয়নি তার।

এরপর আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ৩৮ বলে ২২ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ধ্রুব জুরেল। ৬ বলে ২ রান করার সুযোগ পান রবি বিষ্ণু। ৭ বলে ৩ রান করে অভিষেক দাসের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অথর্ব আঙ্কোলেকার। কার্তিক ত্যাগীকে রানের খাতা খুলারই সুযোগ দেননি বাংলাদেশ দলের তরুণ পেসার অভিষেক দাস। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সুশান্ত মিশ্রকে আউট করে ভারতকে ১৭৭ রানে গুটিয়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ভারত: ৪৭.২ ওভারে ১৭৭/১০ (জসওয়াল ৮৮, তিলক ভার্মা ৩৮, ধ্রুব জুরেল ২২; অভিষেক ৩/৪০, তানজিদ হাসান সাকিব ২/২৮, শরিফুল হাসান ২/৩১)।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button