ঘোড়াঘাট হিলি সড়ক ৪ লাইনে উন্নীত হচ্ছে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দর দিনাজপুরের হিলিÑঘোড়াঘাট সড়ক ৪ লাইনে উন্নীত হচ্ছে।।স্বল্প সময়ের কাজ শুরু করা হবে। জমি অধিকরণে সমস্যা থাকার কারণে বিলম্ব হচ্ছে। তবে মাঠ জরিপের কাজ শেষ। চলতি বছরের শেষ দিকে ডিসেম্বরে একাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর দিনাজপুরের হিলিতে অবস্থিত। আর হাকিমপুর থানাধীন হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক ঘোড়াঘাট-হিলি আঞ্চলিক সড়ক। সড়কটি প্রধানত উত্তর বঙ্গের প্রাণকেন্দ্র বগুড়াসহ রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। কিন্তু সড়কটি ভাঙ্গা-চোরা ও ছোট-বড় খাল-খন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার গর্তগুলো পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে।
হিলি পোর্ট থেকে ভারতে আমদানীÑ রফতানী মালামাল নিয়ে এই ঝঁকিপুর্ণ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ভারী মালবাহী যানবাহন দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে। মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়তে হয় যানবাহনগুলোর। ফলে পরিবহণ ব্যয় বাড়ার সাথে সাথে ব্যাহত হচ্ছে আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম। এছাড়া চলাচলে দুর্ভোগে পড়ছে আলাকার মানুষ।এ কারণে এলাকার মানুষের চরম ভোগান্তি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘোড়াঘাট-হিলি সড়কের ৪ মাথা থেকে ওসমানপুর বাজার, সুজা মসজিদ বলাহার বাজার, ডুগডুগি বাজার, নয়াপাড়া হতে হরিহরপুর, ছাতনি বাজার এবং হিলি বাজার বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত রয়েছে। কোথাও কোথাও রাস্তা ডেবে গেছে। তবে গর্তগুলোর কিছু স্থানে ইট বিছানো হয়েছে।
হিলি পোর্ট থেকে ঘোড়াঘাট সড়ক পথে আসা কয়েকজন ট্রাক চালক বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করি। কিন্তু রাস্তার ্অবস্থা খুবই খারাপ। এ কারণে সময়মত পণ্য পরিবহন করতে পারি না। যানবাহন বিকল হয়ে গেলে ও যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেলে যানবাহন েিনয়ে সড়কেই পড়ে থাকতে হয়।
তাই এ ঝুঁকিপুর্ণ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন বাস ও ট্রাক চালকরা । দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, সড়কটি ফোর লেনে উনীœত করা হবে।স্বল্প সময়ের কাজ শুরু করা হবে। জমি অধিকরণে সমস্যা থাকার কারণে বিলম্ব হচ্ছে। তবে মাঠ জরিপের কাজ শেষ। চলতি বছরের শেষ দিকে ডিসেম্বরে একাজ শুরু করা হবে।