জাতীয়

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত অধ্যাপক এমাজউদ্দীন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সহধর্মিণী সেলিমা আহমদের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

এ সময় তার ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, শামীমুর রহমান শামীম, তকদির হোসেন জসিম, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মহানগর নেতা মাসুদ খানসহ স্থানীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জুমার নামাজের পর এমাজউদ্দীন আহমদের বাসভবন সংলগ্ন রাজধানীর কাঁটাবন এলাকার মসজিদে তার জানাজা হয়। এ সময় অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, লেবার পার্টির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এবি পার্টির পক্ষে মুজিবুর রহমান মঞ্জু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, কবি আবদুল হাই শিকদারসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ফাইল ছবিফাইল ছবিবাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এমাজউদ্দীন আহমদের জানাজা হয়েছে। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিএনপি সমর্থক সাদা দলের অনেক শিক্ষকসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও

নব্বইয়ের দশকের ছাত্র আন্দোলনের নেতবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানায় অংশ নেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ১৯৯২-৯৬ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির প্রথম সরকারের সময় ১৯৯২ সালে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক পান।

বিএনপিতে কোনো পদে না থাকলেও খালেদা জিয়ার একজন পরামর্শদাতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন এমাজউদ্দীন আহমদ। কবি আবদুল হাই শিকদারের সঙ্গে মিলে তিনি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে একটি বইও লিখেছেন। বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে গঠিত শত নাগরিক কমিটির সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার ভোরে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এমাজউদ্দীন আহমদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button