খুলনা বিভাগসারাদেশ

বেনাপোলে ছাত্রীকে শ্লীলতা হানীর অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি: যশোর শার্শার ইছাপুর মাদ্রাসার ছাত্রীকে শ্লীলতা হানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে । শ্লীলতা হানীর শিকার ওই গ্রামের মেয়ের পিতা মুনছুর আলী বাদী হয়ে শার্শা থানায় শ্লীলতা হানীর মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২৬, তারিখ ১৭/০৭/২০। এ ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক পলাতক রয়েছে।

অভিযোগ পাওয়া যায়  ইছাপুর আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল গফুর একজন নারী লোভি। সে দুই ছেলে মেয়ের জনক হলেও তার চরিত্র বদলায় নাই। এর আগেও তার নিজ গ্রাম বালুন্ডায় একটি মেয়ের সাথে অনৈতিক কাজ করায় জরিমানা দিয়ে সে যাত্রা দিয়ে রেহাই পায়।
ইছাপুর আমিনিয়া মাদ্রাসার কর্মচারী সফিকুল ইসলাম বলেন এর আগেও তিনি এরকম একটি ঘটনা ঘটায়। ছাত্রীর সাথে শ্লীলতা হানি ঘটিয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনার সময় আমরা কি উপস্থিত ছিলাম। শুনেছি তিনি মাদ্রাসার একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ছাত্রীকে জোর করে শ্লীলতা হানী করেছেন। এই মর্মে মাদ্রাসার সুপার আজাহার আলী তাকে কারন দর্শানো নোটিশ প্রদান করেছে। এবং তিন দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।
পুটখালী ইউনিয়ন এর মেম্বার তবিবার রহমান বলেন, তার নামে অপবাদ দেওয়ার পর সে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যেয়ে ঘটনাটি এরকম ভাবে প্রচার না করার অনুরোধ করেন। এসময় ওই বাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে ও বেধে রাখে। পরে আমি যেয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। এঘটনায় মেয়ের পক্ষের লোক ৫ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা শার্শা থানায় মামলা দায়ের করেন।
শিক্ষক আব্দুল গফুরের স্ত্রী লিলিমা বলেন এটা একটা সাজানো নাটক। দীর্ঘদিন ধরে তাকে ওই মাদ্রাসা থেকে ইছাপুর গ্রামের লোকজন অপসারন করার জন্য তৎপর হয়। তারই ধারবাহিকতায় নাটক সাজিয়ে এরকম অপবাদ দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে শিক্ষক আব্দুল গফুর গা ঢাকা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম বলেন থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার তদন্তকারী অফিসার আনোয়ার আজিম । তিনি তদন্ত করে বিষয়টি জানাবেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button