রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

উলিপুরের নাগড়াকুড়া টি-বাঁধ বিলিনের হচ্ছে হুমকির মুখে হাজার হাজার মানুষের ভিটা-মাটি ও বাড়ি-ঘর

উলিপুর (কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের উলিপুরের গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়ায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত টি-বাঁধের মূল অংশ ভেঙ্গে গেছে তিস্তা নদীর প্রবল ¯্রােতে। এ অবস্থায় হুমকীর মূখে পড়েছে গুনাইগাছ ও বজরা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের বাড়ি-ঘর ও ভিটে-মাটি। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিসি বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করলেও ক্রমান্বয়ে তা বিলিন হয়ে যাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নংন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, গুনাইগাছের নাগড়াকুড়া টি-হেড বাঁধের ব্লক পিচিংসহ স্থায়ী কাজের মূল ৫০ মিটার অংশ/দেড়শ ফিট নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ফলে মূল টি-বাঁধের ২৩০ মিটার অংশের বিভিন্ন জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলা না হলে এই টি-বাঁধটি বিলিন হওয়ার আশঙ্ক রয়েছে। তিনি আরও জানান, উজানের বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় পানির ¯্রােত সরাসরি এসে টি-বাঁধে ধাক্কা দেয়ায় বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
গুনাইগাছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খোকা জানান, বাঁধটিতে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় সামনের মূল অংশের প্রায় ১৫০ ফিট পানিতে বিলিন হয়ে গেছে। ফলে. বাঁধের বিভিন্ন অংশে ধস দেখা দিয়েছে। এটি নদীতে বিলিন হলে, তাঁর ইউনিয়নের ১,২,৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষের বাড়ি-ভিটা নদীর কড়াল গ্রাসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে- কাজির চক, রাজবল্লভ, ন্দুন নেফরা, টিটমা, সন্তেষ অভিরাম ও শুকদেবকুন্ড।
বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেজাউল করিম আমিন বাবুল জানান, নাগড়াকুড়া টি-বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে তাঁর প্রায় সম্পূর্ণ ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বিশেষ করে- খামার দামার হাট, সাদুয়া দামার হাট, পশ্চিম বজরা, সাতালস্কর ও চর বজরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীী আরিফুল ইসলাম জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ¯্রােত আর ঘূর্ণিপাকের। এতে ওই নাগড়া কুড়ায় টি-বাঁধটির সামনের অংশ ধসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে সেখানে জরুরী ভিত্তিতে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button