সারাদেশ

দেবী দূর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ

আর কয়েক দিন পরেই পূজা। তারই ধারাবাহিকতায় দূর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শরীয়তপুর জেলার মৃৎ শিল্পীরা।

কাশফোটা শরতের শারদীয় দূর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতেই মৃৎ শিল্পীদের এই ব্যস্ততা। এবছর জেলায় ৯৩ টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দূর্গা মায়ের অর্চনা। বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা। এ উৎসব উপলক্ষে শরীয়তপুর কাশফোটা শরতের শারদীয় দূর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতেই মন্দির গুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্ততি।

প্রতিমা শিল্পীর কল্পনায় দেবী দূর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিতে দিন রাতভর চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। ইতিমধ্যে প্রতিমার কাঠামোর মাটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এরপর শুরু হবে রং ও সাজসজ্জার কাজ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে উপজেলা হিন্দুপাড়া গুলোতে আগাম শারদীয় উৎসবের আমেজ লক্ষণীয়। উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্র করে মহা-সম্মেলন হয় বলে এ পূজাকে বলা হয় সার্বজনীন পূজা। আর শরৎকালে হয় বলে বলা হয় শারদীয় উৎসব।

দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে শরীয়তপুর জেলার ৬ টি উপজেলার ৯২টি মণ্ডপের পূজা উদযাপন কমিটি ব্যস্ত সময় পার করছে।

কোন কোন মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি সাজসজ্জার প্রস্ততি ও চলছে। আগামী ০৩ই অক্টোবর থেকে ৫ দিনব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু হবে। স্থানীয় কারিগর ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে কারিগররা এখানে এসে তৈরি করছে মাটির প্রতিমা। প্রতিটি পূজামণ্ডপের জন্য তৈরি করা হচ্ছে দূর্গা, লক্ষ্মী,সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর, সিংহ, মহিষ, পেচা, হাঁস, সর্পসহ প্রায় ১২ টি প্রতিমা।

হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গতিনাশিনী দুর্গাদেবীকে বরণ করে নিতে মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ, সাজসজ্জার কাজ চলছে।

ঢাক, ঢোল বাদ্যকাররা বাদ্যযন্ত্র ঠিকঠাক করে নিচ্ছে পাশাপাশি প্রতিমা শিল্পীরাও মহাব্যস্ত প্রতিমা তৈরিতে। সেইসাথে ব্যস্ত কারিগররাও। মূর্তি গড়া শেষে রংতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হবে প্রতিমা। দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের আবালবৃদ্ধ বনিতা নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ এ সর্ব বৃহৎ শারদীয় উৎসবকে সার্থক করতে প্রহর গুনছে। সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে।

মৃৎ শিল্পী রামকৃষ্ণ পাল  বলেন, এ সময় আমরা প্রতিমা তৈরির কাজে খুব ব্যাস্ত থাকি। এ সময় আমাদের দিন রাত শ্রম দিতে। আর কয়েকদিন পরেই দূর্গা পূজা আমাদের প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এখন রং ও সাজসজ্জার কাজ চলছে।

শরীয়তপুর জেলায় বিশেষ করে সদর উপজেলার কোটাপাড়া পাল বাড়ি এবং ভেদেরগঞ্জ উপজেলার কার্তিকপুর বেশ কয়েকটি পাল বাড়িতে প্রতিমা তৈরির কাজ করা হয়। তাছাড়া এই জেলার মৃৎ শিল্পীরা বাংলাদেশর বিভিন্ন জেলায় গিয়ে প্রতিমা তৈরি করেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button