স্বাস্থ্য

দূরে রাখুন ’অবসাদ’কে

দিনের পর দিন মন খারাপ থাকতে থাকতে তা ক্রমিক আকার ধারণ করাই মানসিক অবসাদ। আর এমনটা হওয়া মাত্র জাগতিক সব কিছু থেকে কেমন যেন মন উঠতে শুরু করে। কোনো কিছুই যেন ভাল লাগে না। মনে হয় জীবনটা যেন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিকেই চিকিৎসা পরিভাষায় ডিপ্রেশন বলা হয়ে থাকে।

আমাদের ভিশন ও মোটর স্কিল যে সেরিব্রাল কর্টেক্স নিয়ন্ত্রণ করে তার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে৷ যা মস্তিষ্কের আমিগডালার কার্যকারিতা কমাতে সাহায্য করে৷ এই অ্যামিগডালা অতিরিক্ত সক্রিয় হলেই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়৷

অবসাদকে দূরে রাখতে ছবি আঁকতে পারেন, এছাড়া রঙ করতে পারেন। মনোবিদরা জানিয়েছেন, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের ভাল রাখতে রঙের গুরুত্ব অপরিসীম৷ মানসিক চাপ কাটাতে সাহায্য করে রং৷ সাইকোথেরাপিতে প্রথম রং বা কালারিং এর ব্যবহার করেন মনোবিদ কার্ল ইয়াঙ্গ৷ তিনি তার ক্লায়েন্টদের স্ট্রেস কাটাতে কালারিংয়ের পরামর্শ দেন৷ তার মতে, রং করার মাধ্যমে আমাদের ভিতরে কী চলছে তা প্রকাশ হয়৷ আমরা কী চাইছি, কীসের মধ্য দিয়ে জীবনে পরিপূর্ণতা পেতে চাই তা বুঝিয়ে দেয় আমাদের রঙের ব্যবহার৷

মনোবিদ গ্লোরিয়া মার্টিনেজ আয়ালা জানান কালারিং আমাদের মস্তিষ্কের দুটি সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ারের বিভিন্ন অংশকে সক্রিয় করে তোলে৷ লজিক আমাদের রং বেছে নিতে সাহায্য করে, ক্রিয়েটিভিটি আমাদের বিভিন্ন রং মিলিয়ে মিশিয়ে ব্যবহার করতে সাহায্য করে৷

সারাদিন চেয়ারে বসে কাজ, এসি, কৃত্রিম আলোর মধ্যে থাকার ফলে দিনের শেষে শুধু স্ট্রেস নয়, বাড়ে অবসাদে ভোগার প্রবণতাও৷ এই অবসাদ মানসিক অবসাদ নয়, মূলত শারীরিক অবসাদ৷ যা কাটাতে প্রয়োজন গ্রিন থেরাপি৷

মনোবিদরা জানিয়েছেন, প্রকৃতির কোলে সময় কাটানো, সূর্যের আলো গায়ে লাগানো অবসাদ কাটানোর জন্য অব্যর্থ৷ বৈজ্ঞানিক ভাষায় একে ইকোসাইকোলজি বলা হয়৷ যার মূল কথা হল প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক স্থাপন৷

এই গ্রিন থেরাপি শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই নয়, শিশুদের মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে, এমনকী এডিএইচডির মতো সমস্যা দূরে রাখতেও উপকারি৷ তাই নিয়ম করে বাড়ির কাছের পার্কে বা নিজের বাগানে হাঁটতে যান৷ শিশুদের সঙ্গে প্রকৃতির কোলে সময় কাটালে সুস্থ থাকবেন, দূর হবে অবসাদ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button