আন্তর্জাতিক

ওয়েবসাইট ক্র্যাশ: থাই রাজার সঙ্গীর ছবি প্রকাশ

থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালঙ্গকর্ণের সঙ্গী সিনেনার্ট ওঙ্গভাজিরাপাকদি। তাকে দেখতে রাজবাড়ির ওয়েবসাইটে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মানুষ। সম্প্রতি সিনেনার্টের বেশকিছু ছবি প্রকাশ করার পর মানুষ এতো বেশি সেগুলো দেখতে শুরু করে যে, ওয়েবসাইটিই ক্র্যাশ করে!

অপ্রস্তুত অবস্থায় তোলা ছবিগুলোতে রাজা মাহা ভাজিরালংকর্নের এই ৩৪ বছর বয়সী সঙ্গী সিনেনার্টকে দেখা গেছে যুদ্ধবিমান চালাতে, সামরিক কুচকাওয়াজে এবং যুদ্ধের পোশাক পরা অবস্থায়।

সম্প্রতি সিনেনার্টকে কনসর্ট উপাধি দিয়েছেন থাইল্যান্ডের রাজা। কনসর্ট একটা উপাধি সেটা রাজা তার স্ত্রী বা সঙ্গীকে দিয়ে থাকেন। ৬৭ বছর বয়সী রাজা গত মাসে এই উপাধি দেন। তিনি এক শতাব্দীর মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যাকে ‘রয়্যাল নোবেল কনসর্ট’ উপাধি দেয়া হয়েছে।

থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনীর একজন মেজর জেনারেল সিনেনার্ট। নার্স হিসেবেও এক সময় দেশটির সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। তবে এখন থাইল্যান্ডের রাজকীয় দেহরক্ষী হিসেবে সে দেশের রাজাকে রক্ষা করাই তার প্রধান কাজ। ২০১৭ থেকেই এ কাজ করছেন সিনেনার্ট।

সিনেনার্টের যে ছবিগুলো দেখতে মানুষ রাজকীয় ওয়েবসাইটে ভিড় করেছেন, সেগুলো গত সপ্তাহে প্রকাশিত হয়। তাইল্যান্ডের রাজার ৪৬ পাতার জীবনীতে ঠাঁই পেয়েছে ৩৪ বছরের সিনেনার্টের নানা সময়ের মোট ৬০টি ছবি। তবে ছবিগুলো গত সোমবার অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। তবে ওয়েবসাইট ক্র্যাশ করার পরের দিন তা ঠিক করা হয়েছে।

রাজবাড়ি বা তার সদস্যদের নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলায় থাইল্যান্ডে কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমনকি, তাতে রাজার সম্মানহানি হলে অপরাধীর ১৫ বছরের কারাবাসও ভোগ করতে হতে পারে। তবে প্রকাশিত ছবিগুলোতে রাজ পরিবারের একেবারে অন্দরের চেহারা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কখনও দেখা গিয়েছে, রাজা মহা ভাজিরালঙ্গকর্ণের সঙ্গে জংলা সামরিক পোশাকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সিনেনার্ট।

আরও একটি ছবিতে সিনেনার্টের অন্য ধরনের চেহারা দেখা গেছে। সেনাকর্মীদের সঙ্গে বিমানের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন সিনেনার্ট। ছোট করে ছাঁটা চুল। সঙ্গে গোলাবারুদ-অস্ত্রশস্ত্র। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, যুদ্ধবিমানের দরজার কাছে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তিনি। প্যারাশুট পরে নিচে ঝাঁপ দেয়ার অপেক্ষায়।

থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় নান প্রদেশে ১৯৮৫ সালের ২৬ জানুয়ারিতে জন্ম সিনেনার্টের। পড়াশোনা করেছেন সেখানেই। এরপর ২০০৮ সালে রয়্যাল থাই আর্মি নার্সিং কলেজে ভর্তি হন তিনি। স্নাতক পাশ করেন সেখান থেকেই।

কলেজের পর বেশ কয়েকটি মিলিটারি স্কুলে সামরিক ট্রেনিং নেন সিনেনার্ট। ২০১৫ সালে জাঙ্গল ওয়ারফেয়ারে আবারও স্নাতক করনে। সে বছর আকাশপথে যুদ্ধের একটি বিশেষ ট্রেনিং নেন সিনেনার্ট। দুই বছর পর সেনা কলেজ ও নৌসেনা স্কুল থেকে দুটি আলাদা কোর্স শিখে ফেলেন। বিমানবাহিনী একাডেমি থেকে ফের স্নাতক পাশের পর বিমানচালনায় আরও দক্ষ হতে পাড়ি দেন জার্মানি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button