ড্রোন হামলায় ইরানের জড়িত থাকার প্রমাণ দিল সৌদি
সৌদি তেল শোধনাগারে প্রশ্নাতীতভাবে ইরানের পৃষ্ঠপোষকতায় হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার। বুধবার( ১৮ সেপ্টেম্বর) সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হামলার বেশকিছু প্রমাণও হাজির করা হয়। তবে, এ-অভিযোগ আবারও অস্বীকার করেছে তেহরান। এদিকে, সৌদি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার ঘটনায় ইরানের ওপর আরও কঠিন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যেই, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ড্রোন হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হাউথিরা।
বুধবার সৌদি আরবের রিয়াদে সম্প্রতি তেল শোধনাগারে হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ সাংবাদিকদের সামনে প্রদর্শন করে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় হামলায় অন্তত আঠারোটি ড্রোন ও সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সেগুলো ইরানে তৈরি বলে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ইয়েমেন থেকে নয় বরং অন্য কোনো দেশ থেকে হামলা চালানো হয়।
সৌদি আরবে হামলার ঘটনায় ইরানই জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-ও। রিয়াদে সৌদি যুবরাজ সালমানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তেহরানের এ-হামলা যুদ্ধের সামিল। এই হামলার কারণে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের এ-সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে তেহরান। ইরানের সাধারণ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই ট্রাম্প এমন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। আর সৌদি স্হাপনায় হামলার সঙ্গে ইরানের কোনো ধরণের সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরমধ্যেই, আবারও সৌদি আরবে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেকোনো সময় হামলা চালানো হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
গেল শনিবারের ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের চলমান নাটকিয়তা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস।