অসম্পাদিত

করোনা যুদ্ধে সাহসী ভূমিকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা

যশোর প্রতিনিধি: যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রথম থেকেই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরুফা সুলতানা। তিনি তেরখাদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থেকে ২৭ ফেব্রয়ারি ২০২০ কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে যোগদান করেন।

পৌরসভাসহ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ, জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর ভূমিকা পালন করে চলেছেন তিনি। প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযানের সময় সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং করে দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার ভিতরের রাখতে কঠোর ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, করোনা সময়কালে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। পাশাপাশি ভ‚গর্ভ থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য নিরলস কাজ করছেন তিনি। সকাল হলেই প্রতিদিন বেড়িয়ে পড়েন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এমনকি গ্রাম-গঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নিজেই রাত-দিন মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

জানা গেছে, করোনা মোকাবেলায় গত মার্চ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২৬৮ জনকে ২৬৮টি মামলায় ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটে।

কেশবপুর স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, কেশবপুরে ৭০ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন মারা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরুফা সুলতানা জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান স্যারের সার্বিক দিকনির্দেশনায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে জনগনকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নিজ-নিজ ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে আমরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। তবে এক্ষেত্রে বিধি নিষেধ অমান্য করে কিছু লোক যারা ঘরের বাইরে বের হয়েছিলেন কিংবা হাট-বাজারে দোকানপাট খোলা রেখেছিলেন তাদের প্রতি সচেতনতার আহবান জানিয়ে বারবার সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান, সরকারি নির্দেশনা না মানলে তাদের প্রতি প্রচলিত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। কেশবপুরে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এখানকার জনগণকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার চাঁদরে বেষ্টিত করতে দিন-রাত নিরলস পরিশ্রম আমরা কাজ করে চলেছি। জনসাধারণকে সচেতন করতে পারলেই এ যুদ্ধে আমরা জয়ী হতে পারবো। সারাদিন কর্মকান্ড শেষে ঘরে যেতে ভয় হয়। শিশু সন্তান তার দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। উপজেলার বিভিন্ন জায়গা মনিটরিং কালে আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও কেশবপুর থানা পুলিশ। কেউ যেন এই মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ না করে বা কারোর পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কেশবপুরকে এ মহামারী থেকে বাচাঁতে পারলেই বর্তমান সরকারের তথা আমাদের সবার এ পরিশ্রম স্বার্থক হবে। আসুন আমরা সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি করি, যেন করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। এসময় এসিল্যান্ড ইরুফা সুলতানা তার কার্যক্রমে কেশবপুরবাসীসহ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button