জাতীয়লিড নিউজ

ঢাকায় আনা হলো সাহেদকে, দুপুরে সংবাদ সম্মেলন

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় অনিয়ম-প্রতারণার অভিযোগে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টায় সাহেদকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর তাকে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে র‌্যাবের প্রধান কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে দুপুর ১টার দিকে সাহেদের গ্রেফতার নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে ভোরে সাহেদকে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) একটি টিম। র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানিয়েছেন, অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া ও জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া হাসপাতালটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে।
গত ৬ জুলাই হাসপাতালটিতে অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে বিভিন্ন অনিয়ম-প্রতারণার প্রমাণ মেলে। করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণার অভিযোগ আসায় রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে প্রশাসন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে তার করোনা পরীক্ষার অনুমোদন বাতিল করা হয়।
র‌্যাব জানায়, বাসায় গিয়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের অনুমতি না থাকলেও তারা সে কাজটি করত। আবার হাসপাতালে ভর্তি রোগীর ক্ষেত্রেও সরকারি ব্যবস্থাপনায় করোনা পরীক্ষা করা হলেও তারা এর জন্য টাকা নিত। রিজেন্ট হাসপাতাল সরকারিভাবে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেও কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রোগীদের কাছ থেকে।
র‌্যাবের অভিযানের পর রিজেন্ট হাসপাতালের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এর মধ্যে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের নামে মামলা দায়ের করে র‌্যাব। অভিযানের দিনই আটক হয়েছিলেন আট জন। পরে সাহেদের ঘনিষ্ঠ তারেক শিবলীকেও রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে সাহেদ পলাতক ছিলেন। হাসপাতালে অভিযানের এক সপ্তাহ পর অবশেষে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হলেন সাহেদ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button