রংপুর বিভাগসারাদেশ

আগামী সপ্তাহে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হবে

হিলি প্রতিনিধি: ভরা মৌসুমেও দেশের বাজারে চালের দাম অস্থিরতা বিরাজ করছে। দাম এখন ক্রেতার নাগালের বাইরে। আর দেশের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাজার স্বাভাবিক রাখতে স্বল্প সময়ের দেশের ১০টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।এর মধ্যে ১৫ হাজার মেট্রিক চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের রেণু কন্সট্রাকশন নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে চাল আমদানির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি।তবে সরকারের বেধেঁ দেওয়া সঠিক সময়ে চাল আমদানি করবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি।
আমদানিকারক রেণূ কন্সট্রাকশন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আনিছুর রহমান জানান,হিলি স্থলবন্দর থেকে শুধু মাত্র আমরাই ১৫ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছি। সরকারের শর্তবালি মেনে কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে চাল আমদানি শুরু হবে। আর চাল আমদানি শুরু হলে এবং সঠিক সময়ে সরবরাহ করলে দেশের বাজারে দাম কমে আসতে শুরু করবে।
হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, বন্দরের একটি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। তারা চাল আমদানির জন্য ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্ততি শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন বন্দরের অনান্য প্রতিষ্ঠানও চাল আমদানির জন্য আবেদন করছে। আমি নিজেও সরকারের বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে মেনে আজকে চাল আমদানির জন্য আবেদন করলাম। তবে আমাদের স্থলবন্দর এলাকায় প্রতিনিয়তই যানযটের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ব্যহৃত হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।অন্য বন্দর গুলোতে আমদানি-রপ্তানি সকাল ৯ টায় শুরু হলেও আমাদের বন্দরে রাস্তার অভাবে ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো ভারতে প্রবেশের পর প্রায় সকাল ১১ পরে শুরু হয় পণ্য আমদানি।
তিনি আরো বলেন,যেহেতু সর্কীণ রাস্তার কারনে যানযটের সৃষ্টি হয়, অন্য দিকে সরকার চাল আমদানিতে নিদিষ্ট সময় বেধেঁ দিয়েছে,তাই সঠিক সময় চাল আমদানি নিয়ে শংঙ্খায় রয়েছি আমরা। সরকারের কাছে চাল আমদানির ক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর জোড় দাবি জানাচ্ছি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button