বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?

মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা করার মতো লোকের অভাব নেই! অনেকে তো প্রশ্নও জুড়ে দেন, চাঁদে বাড়ি বানানোর কাজ কতদূর? কবে থেকে বসবাস শুরু করা যাবে? উত্তরে এটুকু বলা যায়, চাঁদের পাড়াতেই দুই বা তিন বেডরুমের ‘বাড়ি’ বানাচ্ছে নাসা। মহাকাশ প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সেখানো কোনো ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থাকবে না।

হ্যাঁ, চাঁদের বুকে বাড়ির মতো একটি মহাকাশ স্টেশন বানাচ্ছে নাসা। প্রথম ‘লুনার স্পেস স্টেশন’। নাসার ওই প্রকল্পের নাম- ‘গেটওয়ে টু মুন’ বা ‘আর্টেমিস’। তার প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে হয়েছে খুব দ্রুত গতিতেই। এখন আমরা স্পেস স্টেশন বলতে যা বুঝি, সেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) রয়েছে পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার ওপরে। আর লুনার স্পেস স্টেশনটা নাসাকে বানাতে হচ্ছে পৃথিবী থেকে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার কিলোমিটার দূরে।

নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরির ‘ইউরোপা’ মিশনের দলনেতা গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, খুব দ্রুত গতিতে কাজটা চলছে। নাসা চাইছে প্রথম পর্যায়ের কাজ ২০২২-২৩ সালের মধ্যেই শেষ করতে। শেষ পর্যায়ের কাজটা ২০২৮-এর মধ্যেই হয়ে যাক এমনটা চাইছে মার্কিন প্রশাসন।

তিন বছরের মধ্যে ‘বাড়ি’ নির্মাণের কাজ অনেকটা শেষ হবে ঠিকই। কিন্তু অনেকের তো ইচ্ছে এখনই মহাকাশ থেকে ঘুরে আসার! তাদের জন্য একটা প্যাকেজ চালু আছে। নাসা জানিয়েছে, তারা বছরে দু’বার আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পর্যটক পাঠাবে। মহাকাশ যাত্রা করতে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা বাধ্যতামূলক নয়। এই যাত্রায় পর্যটকের প্রায় ৫৮ মিলিয়ান মার্কিন ডলার খরচ হবে।

চলতি বছরের শেষের দিকে স্পেসএক্স আর বোয়িং এর ট্রান্সপোর্ট ক্যাপসুল তৈরি শেষ হবে। এরপর পরীক্ষামূলকভাবে এই ক্যাপসুলগুলো মহাকাশে পাঠানো হবে। ২০২০ সালে বাণিজ্যিকভাবে পর্যটকদের মহাকাশে পাঠানো যাবে। তারপর ‘বাড়ি’ নির্মিত হলে হয়তো নতুন কোনো প্যাকেজ চালু করবে নাসা!

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button