জাতীয়

ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে শার্টোলজির বিরুদ্ধে মামলা

ভ্যাট নিবন্ধন না নিয়ে ব্যাবসা করায় মিরপুর বাউন্ডারি রোডের অনলাইন শপিং প্লাটফর্ম শার্টোলজিতে অভিযান চালিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর। এই সময় ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় আজ ওই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করেছে সরকারি সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়াই শার্টোলজি প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করে আসছে। শার্টোলজি অনলাইনে মেন্স শার্টস বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে তা গ্রাহকের নিকট পৌচ্ছে দিচ্ছে। ভ্যাট আইন অনুসারে, অনলাইনে ওই পণ্য বিক্রয় করতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য। ওই কার্যক্রমের সেবা কোড : এস ০৯৯.৬০।

ভ্যাট গোয়েন্দার কাছে ফেসবুকে একজন গ্রাহকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শার্টোলজির কার্যক্রম সম্পর্কে গোপন সংবাদ সংগ্রহ করা হয়। এরপর ভ্যাট গোয়েন্দা ১৯ নভেম্বর ওই অভিযানটি চালিযেছে। সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. মাহিদুল ইসলাম অভিযানে নেতৃত্ব দেন। ওই অভিযানে শার্টোলজির প্রাঙ্গন থেকে প্রতিষ্ঠানের অনলাইন কার্যক্রম সংক্রান্তে বেশকিছু বাণিজ্যিক কাগজপত্র জব্দ করা হয়।

এতে দেখা যায়, জুন ২০১৯ থেকে ওই প্লাটফর্মে ৬০ লাখ টাকার পণ্য অনলাইনে বিক্রয় করা হয়। এর উপর নির্ধারিত ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য হয় ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা। আইনি বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও ওই শপিং কার্যক্রমের জন্য ভ্যাট নিবন্ধন নেয়নি শার্টোলজি।

প্রাঙ্গন থেকে জব্দ করা কাগজপত্র অনুসারে, অনলাইন প্লাটফর্মটি পণ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করে ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ভ্যাট নিবন্ধন না নিয়ে ব্যবসা করায় এবং ভ্যাট ফাঁকির সাথে জড়িত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আজ ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে। এটি ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট নিষ্পত্তি করবে।

মইনুল খান আরও বলেন, ভ্যাটের বিচারিক আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফাকি করা ভ্যাট পরিশোধসহ ওই পরিমাণের দ্বিগুণ জরিমানা দন্ড হতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশে এই রকম ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আরও যেসব প্লাটফর্মে ব্যবসা চলছে ভ্যাট গোয়েন্দারা তাদের সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে এবং অনুসন্ধান শেষে আইনি ব্যবস্থা নিবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button