মেডিকেলে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ
সারাদেশের সরকারি মেডিকেলে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগ প্রদানে নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ নীতিমালার খসড়া প্রণয়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এরইমাঝে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রকল্প ও অপারেশন প্ল্যান বাস্তবায়ন সম্পর্কিত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় এ নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, সরকারি মেডিকেল কলেজে যোগ্যরাই নিয়োগ পেয়ে থাকেন। তবে ব্যতিক্রম ঘটনা যে একেবারেই ঘটে না, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। অধিকতর স্বচ্ছ পদ্ধতিতে সবচেয়ে যোগ্য শিক্ষককে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিতেই এ নীতিমালাটি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ নীতিমালা প্রণয়নের ব্যাপারে এখনো কিছু জানেন না উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, যে কোনো নীতিমালা প্রণীত হলে, সেই সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে যে কোনো পদে নিয়োগ দেওয়া হলে, অধিকতর স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৩৬টি। এসব মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে গুরত্বপূর্ণ এ দুইটি পদে নিয়োগের সময় ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী, সচিব, সংসদ সদস্য ও চিকিৎসক নেতারা প্রভাব খাটিয়ে তার পছন্দের চিকিৎসক শিক্ষককে নিয়োগ দিতে প্রভাব বিস্তার করেন। এ কারণে অপেক্ষাকৃত বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন সিনিয়র শিক্ষকও তার প্রাপ্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হন বলে অভিযোগ উঠেছে।