প্রথম ম্যাচে পিএসজির কাছে ৩-০ গোলের হার। গ্রুপে সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে হারের পর রিয়াল ঘুরে দাঁড়াবে পুঁচকে ব্রুজেসের বিপক্ষে, এমনটাই আশা করেছিলেন দলটির সমর্থকেরা। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। উল্টো ঘরের মাঠে হারতে হারতে ড্র করেছে রিয়াল। বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজেসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে তারা। এতে চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম দুই ম্যাচ শেষে মাত্র ১ পয়েন্ট পেল রিয়াল। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এর চেয়ে বাজে শুরু আর কখনো হয়নি ১৩বারের চ্যাম্পিয়নদের।
২০০২-০৩ মৌসুমেও এমন হয়েছিল। তবে সেটি দ্বিতীয় রাউন্ডে। সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগের নিয়ম এখনকার মতো ছিল না। প্রথম রাউন্ডের পর আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন আর রানার্সআপ আপ মিলিয়ে উত্তীর্ণ মোট ষোলো দলকে আবারও চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় রাউন্ডে রিয়ালের গ্রুপে সঙ্গী ছিল এসি মিলান, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও লোকোমোটিভ মস্কো। সেবার প্রথম ম্যাচে আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর গোলে এসি মিলানের কাছে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া রিয়াল দ্বিতীয় ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছিল লোকোমোটিভ মস্কোর সঙ্গে। দুই ম্যাচে পেয়েছিল ১ পয়েন্ট।
সেবার সেমিতে জুভেন্টাসের বিপক্ষে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল রোনালদো-জিদানদের। দ্বিতীয় রাউন্ডে রিয়ালকে হারানো এসি মিলান ফাইনালে জুভেন্টাসকে হারিয়ে জিতেছিল নিজেদের ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়নস লিগ। রিয়ালকে হারানো পিএসজি এ কারণে এবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের ব্যাপারে একটু আশাবাদী হতেই পারে! এ ছাড়াও আরও চার বার হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিযান শুরু করেছিল রিয়াল। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় ম্যাচটা জিতে ফর্মে ফিরে এসেছিল দলটি। এবার সেটাও হলো না।
আগামী ২২ অক্টোবর চ্যাম্পিয়নস লিগে আবারও নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। তুরস্কে যাবে গ্যালাতসারের বিপক্ষে খেলতে। সে ম্যাচে ইতিবাচক ফল না আনতে পারলে চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেওয়ার শঙ্কা জেঁকে বসবে রিয়াল শিবিরে।