জাতীয়দুর্যোগরাজনীতিলিড নিউজ

নানক জানালেন ওমর ফারুককে যুবলীগ থেকে বাদ দেয়ার কারণ

আওয়ামী যুবলীগের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বর্তমান কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় যুবলীগের ৭ম জাতীয় কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করার সুযোগটুকুও পাচ্ছেন না তিনি। ঢাকার অবৈধ ক্যাসিনোর সুবিধাভোগী হওয়ায় এবং অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে ৭১ বছর বয়সী যুবলীগ চেয়ারম্যান বাদ পড়তে যাচ্ছেন-এমন আলোচনা শোনা যাচ্ছিল কয়েকদিন ধরে।

অবশেষে যুবলীগের সাংগঠনিক নেত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে রোববারের বৈঠকে সেটিই সত্যি হল। ওমর ফারুককে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা না হলেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সংগঠন পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

গতকাল গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেয়া নানক রাতে ঢাকার বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওমর ফারুককে যুবলীগ থেকে বাদ দেয়ার কারণ জানান। যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘সংগঠনকে (যুবলীগ) তিনি (ওমর ফারুক চৌধুরী) সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেননি। সংগঠনে যেসব উচ্ছিষ্ট বস্তু (বহিরাগত) ঢুকেছিল, তিনি তাদের নির্দিষ্ট করতে পারেননি। আর সে কারণে ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনকে কালিমা বহন করতে হচ্ছে।’

জাহাঙ্গীর কবির নানক যখন যুবলীগের চেয়ারম্যান তখন ওমর ফারুক ছিলেন সংগঠনটির প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য। নানক যুবলীগের দায়িত্ব ছেড়ে দিলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন ওমর ফারুক। তিনি যুবলীগের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারেননি বলেও জানান নানক। বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুবলীগ নেতাদের নাম জড়ানোয় সংগঠনটির সাবেক দায়িত্বশীল হিসেবে নিজে ‘লজ্জিত’ বলেও জানান সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, ‘কোনো না কোনও সময় দুষ্ট জায়গার ওপর আঘাত করতেই হয়। যুবলীগ আমাদের অনেক কষ্টের ফসল। যুবলীগ যখন জবাবদিহির সম্মুখীন হয়, আমরা চুপসে যাই।’ যুবলীগের বর্তমান কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের দোষারুপ করে নানক বলেন, ‘যুবলীগের যারা প্রেসিডিয়াম সদস্য, যারা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, যারা কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটিতে আছেন, তারা কেন বিষয়গুলো (যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ) আগে উত্থাপন করলেন না।

তারা কেন কোনও সভায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করলো না, আমার তা বোধগম্য হয় না। যদি বিষয়গুলো আগে উত্থাপন করা হতো, আলোচনা হতো, তবে একটা ফল আসতো।’ সম্প্রতি যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ার বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ড. মীজানুর রহমানের আগ্রহ প্রকাশ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘এটা কী আমাদের মধ্যে আলোচনা করার বিষয়? যদি মীজানুর রহমান এমন কথা বলে থাকেন, এর মধ্য দিয়ে যুবলীগকে সমৃদ্ধ করা হয় না, এর মধ্য দিয়ে মূলত উপাচার্য পদকে হেয় করা হয়।’

যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মতো আওয়ামী লীগেও অনেক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পর দুর্নীতির অভিযোগ থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে কিনা—এমন এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘ব্যবস্থা নেয়ার আগে ছাত্রলীগকে সতর্ক করা হয়েছে; যুবলীগকেও সতর্ক করা হয়েছে। এর পরও কাজ না হওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সামনে কোনো পথ খোলা ছিল না। নানা সময় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরও সতর্ক করেছেন। যদি আমিও অন্যায়কারী হই, তবে প্রধানমন্ত্রী আমাকেও ক্ষমা করবেন না।’

সম্প্রতি যুবলীগের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা ও টেন্ডারবাজির অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের পর থেকে সংগঠন‌টির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নামও উঠে আসে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার করা হয় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা জি কে শামীমসহ অনেকেই।

যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সম্পৃক্ততাও বেরিয়ে আসে। তার আলোকে ইতিমধ্যেই ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব করা ছাড়াও তার বিদেশে যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর পর থেকেই আড়ালে চলে যান ওমর ফারুক। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাকে ছাড়াই সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সংগঠনটি। তাকে ছাড়াই হয়েছে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সভা।

অভিযোগ রয়েছে, যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়ার পর কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিজের অনুগতদের বসিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। ঢাকা মহানগর ও দেশব্যাপী জেলা কমিটিগুলোও হয়েছেন তার পকেটের লোক দিয়ে। নিজেকে তরুণ ভাবাপন্ন ৭১ বছর বয়সী ওমর ফারুক চৌধুরী যুবলীগের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই একক ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন। শুরুতে সাবেক নেতাদের পরামর্শ ছাড়াই একটি ঢাউস কমিটি গঠন করেন তিনি।

অভিযোগ আছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনি অনেক নেতাকে কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। পদভেদে ১০ লাখ থেকে শুরু করে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। ফ্রিডম পার্টি ও যুবদলের অনেকে টাকার বিনিময়ে ঠাঁই পেয়েছেন যুবলীগে বলেও অনেকে অভিযোগ করেন। ওমর ফারুক চেয়ারম্যান হওয়ার পর যুবলীগে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন সুবিধাবাদী ও দুর্বৃত্তরা। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সময়কার পিয়ন কাজী আনিসুর রহমান কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক পদ পেয়ে যান ওমর ফারুকের কল্যাণে।

পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে এমন অনেককে নেতা বানানোর ক্ষেত্রে যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের ভূমিকা রয়েছে বলেও অভিযোগ আছে। কাজী আনিস যুবলীগ অফিসের পিয়ন থেকে নেতা হন এবং এখন অনেক বিত্তবৈভবের মালিক। তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ‘কালেক্টর’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ৩০ লাখ থেকে কোটি টাকার বিনিময়ে আনিসের মাধ্যমে পদ পেয়েছেন অনেকেই।

ওমর ফারুক চৌধুরীর জন্ম ১৯৪৮ সালে। সত্তরের দশকে চট্টগ্রাম জেলা বিড়ি শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তখন আওয়ামী লীগের প্রয়াত কেন্দ্রীয় নেতা এস এম ইউসুফ ছিলেন তার রাজনৈতিক গুরু। বিড়ি শ্রমিক লীগের নেতা হয়ে মিয়ানমার থেকে টেন্ডু পাতা আমদানি শুরু করেন ওমর ফারুক। তামাকের বিকল্প এ টেন্ডু পাতা বিড়ির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ক্ষমতায় আসার সময় ওমর ফারুক শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা নাজিউর রহমান (মঞ্জু) এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য হলে ওমর ফারুক দল বদল করেন। জাতীয় পার্টির অঙ্গসংগঠন যুব সংহতির চট্টগ্রাম উত্তর জেলার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ওমর ফারুক চৌধুরী নাজিউর রহমানের ভায়রা ভাই এবং শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ভগ্নিপতি।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক নেতা জানান, বিগত সাত বছরে তারা চেয়ারম্যানের ভয়ে তটস্থ ছিলেন। মুখ বুজে সব অপকর্ম সহ্য করেছেন। সংগঠনে সব সিদ্ধান্ত তিনি এককভাবে নিয়েছেন। আমাদের শুধু সম্মতি দিতে হয়েছে। তার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মত দিলেই তাৎক্ষণিক বহিষ্কার, অফিসে আসতে বারণ পর্যন্ত করা হয়েছে। তারা বলেন, তার সব অপকর্ম জায়েজ করার মেশিন ছিল যুব জাগরণ প্রকাশনা। এখান থেকে নানা বই ও প্রকাশনা বের করে সবার কাছে ভালো সাজার চেষ্টা করতেন। পুরো সাত বছরে যুবলীগ বলতে আমরা শুধু তাকেই বুঝতাম।

এদিকে ক্যাসিনো-কাণ্ডে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নাম আলোচনায় আসায় দীর্ঘ ৭ বছর ধরে কোণঠাসা নেতারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। শুক্রবার অনুষ্ঠিত সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম বৈঠকে তাকে বহিষ্কার ও নতুন কাউকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বভার দেয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় কংগ্রেসে তিনি যাতে সভাপতিত্ব করতে না পারেন তা নিয়ে অনেকেই কথা বলেছেন। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় সেখানে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে হাজারও অভিযোগ জমেছে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। দলীয় পদবাণিজ্যের অভিযোগ, স্বেচ্ছাচারিতা, ইচ্ছামাফিক পদ দেয়া-পদ বাতিল করা ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ ছিল তার নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার। সর্বশেষ সম্রাটের ক্যাসিনোর ভাগ পেতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। যুবলীগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোতে সম্পৃক্ত ‘বিস্ময়কর’ এবং সংগঠনটির জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের অনেক নেতা।

ক্যাসিনোসহ নানা অভিযোগে সংগঠনের বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হন। বাংলাদেশ ব্যাংক তার সম্পদের হিসাব তলব করে। এরই মধ্যে গ্রেফতার হন যুবলীগের আরেক শীর্ষ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। এর আগে ওমর ফারুক চৌধুরীর দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ বিষয়ে বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোয় সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়। নেয়া হয় বাড়তি সতর্কতা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক হিসাব তলবের পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ধানমণ্ডির বাসভবনে আছেন ওমর ফারুক চৌধুরী।

প্রসঙ্গত ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় চাঁদা দাবির অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে অপসারণের নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি যুবলীগ নেতাদের বিষয়েও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, যুবলীগের এক নেতা অস্ত্র উঁচিয়ে চলে। আরেকজন প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে বেড়ায়।

এর পর গণমাধ্যমে যুবলীগ নেতাদের সংশ্লিষ্টতায় ঢাকার ৬০টি জায়গায় ক্যাসিনো পরিচালনার খবর প্রকাশ হয়। ১৮ নভেম্বর ফকিরাপুলের ইয়াংমেনস, ওয়ান্ডারার্স এবং গুলিস্তানে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম, বিপুল পরিমাণ মদ ও ৪০ লাখের বেশি টাকা উদ্ধার করে র্যা ব। ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে ওই দিনই যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়, যিনি ইয়াংমেনস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন।

পাশের ওয়ান্ডারার্স ক্লাব থেকেও জুয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ক্লাব পরিচালনার নেতৃত্বে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার। এর পর ধানমণ্ডির কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযান চালিয়েও ক্যাসিনো চালানোর প্রমাণ পায় র্যা ব। অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয় ক্লাবের সভাপতি কৃষক লীগের সহসভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে।

এর মধ্যে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি করা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ ও বিসিবির পরিচালক লোকমান ভূঁইয়াকে। দুবাই থেকে গ্রেফতার করা হয় শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে। পরে গ্রেফতার করা হয়েছে ক্যাসিনো সম্রাট যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানকে ‘শুদ্ধি অভিযান’ নাম দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সন্ত্রাস, চাঁদবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের ভাসানচরে পাঠানো হবে।

ক্যাসিনো ব্যবসায় যুবলীগ নেতাদের মদদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তলব করা হয়েছে ব্যাংক হিসাব। সবশেষ তাকে যুবলীগের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো। এর মধ্য দিয়ে যুবলীগের রাজনীতিতে ওমর ফারুকের অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button