দেশ বরেণ্য দুই পোল্ট্রি বিজ্ঞানীকে বিদায়ী সংবর্ধনা
দেশ বরেণ্য দুই পোল্ট্রি বিজ্ঞানীকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ওই বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান হাউলিদার এবং অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ আলীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এছাড়াও খ্যাতিমান পোল্ট্রি বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. শফি উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. এস. এম. বুলবুল, অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী, পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলামসহ পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বিপুল চন্দ্র রায়। অনুষ্ঠানে খ্যাতিমান ওই দুই বিজ্ঞানীর কৃতিত্বপূর্ণ কর্মজীবনের ওপর উপস্থাপনা করেন পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. বাপন দে।
অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান হাউলিদার ১৯৮০ সালের ২৭ অক্টোবর প্রভাষক হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে সহকারী অধ্যাপক, ১৯৯০ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৯৫ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি ২০১৯ সালের ৩০ জুন অবসর গ্রহণ করেন। সুদীর্ঘ ৩৯ বছরের কর্মজীবনে তিনি পোল্ট্রির উৎপাদন এবং উৎপাদন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি ডোয়ার্ফ এবং ন্যাকেট নেইক মুরগির উন্নয়ন করেছেন। তিনি তার কর্মজীবনে সর্বমোট ১০৯টি গবেষণা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন।
অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ আলী ১৯৭৭ সালের ৫ ডিসেম্বর টিচিং ফেলোশিপের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি ১৯৭৯ সালের ৮ মে প্রভাষক হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে সহকারী অধ্যাপক, ১৯৮৮ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি ২০১৯ সালের ৩০ জুন অবসর গ্রহণ করেন। সুদীর্ঘ ৪০ বছরের কর্মজীবনে তিনি পোল্ট্রির পুষ্টি, ব্যবস্থাপনা এবং উৎপাদন নিয়ে কাজ করেছেন। জনপ্রিয় বাউ ব্রো হোয়াট এবং বাউ ব্রো কালার চিকেন স্ট্রেইনের উদ্ভাবন করেন তিনি। তিনি তার কর্মজীবনে সর্বমোট ৫৬টি গবেষণা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খ্যাতিমান ওই দুই বিজ্ঞানীকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।