শিক্ষাঙ্গন

ঘূর্ণিঝড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ শুরু

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু করেছে সরকার। এজন্য পৃথক উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১১ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব (রুটিন) ড. অরুণা বিশ্বাস এ তথ্য জানিয়েছেন।

অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য মন্ত্রণালয়ের অধীন দুটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) বলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের কাছ থেকে আমরা সার্বিক চিত্র পেয়ে যাব। এরপর সেগুলো মেরামত ও সংস্কার করার নির্দেশ দেওয়া হবে। সামনে বিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক পরীক্ষা রয়েছে। সেটি মাথায় রেখেই দ্রুত সংস্কার করা হবে।’

মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক জানান, তারা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেয়েছেন। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা নিজ নিজ উপজেলার তথ্য দেবেন।

মহাপরিচালক বলেন, ‘বিশেষ করে ১৪টি জেলার শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে তারা ক্ষয়ক্ষতির বিশদ প্রতিবেদন চেয়েছেন। জেলাগুলো হলো- চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘বুলবুলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন হাতে পেলে সেগুলোর সংস্কারে এলজিইডিকে বলা হবে।’

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button